টবে চন্দ্রমল্লিকা ফুল গাছের সম্পূর্ন পারিচর্যা

Last updated on November 21st, 2023 at 08:42 pm

চন্দ্রমল্লিকা বিশ্বের জনপ্রিয় মৌসুমি ফুল গুলির মধ্যে অন্যতম। চন্দ্রমল্লিকা তুলনামূলক ভাবে ঠান্ডা আবহাওয়া এবং রৌদ্রোজ্জ্বল আলোতে ভালো জন্মায়। জনপ্রিয়তার দিক থেকে গোলাপ এবং ক্যামেলিয়ার পরেই এর স্থান। খ্রিস্টমাসের সময়ে চন্দ্রমল্লিকা ফুটতে দেখা যায় বলে একে ক্রিসেন্থিমাম বলা হয়।

টবে চন্দ্রমল্লিকা গাছ থেকে প্রচুর ফুল পাওয়ার উপায় | How To Care & Grow For chrysanthemum সম্পর্কে সম্পূর্ন তথ্য জানতে পারবেন। চন্দ্রমল্লিকা গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Chrysanthemum indicum L, এটি Asteraceae পরিবারের অর্ন্তভুক্ত , ইংরেজি নাম -Chrysanthemum, mums, hardy mums । চন্দ্রমল্লিকা ভেষজ, বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। এই গাছের উৎপত্তি পূর্ব এশিয়া সহ ইউরোপ এবং এই ফুলের বৈচিত্র্যের কেন্দ্রস্থল হল চিন। চন্দ্রমল্লিকা জাপানের জাতীয় ফুল।

টবে চন্দ্রমল্লিকা ফুল গাছের সম্পূর্ন পারিচর্যা

ভারতবর্ষ এবং বাংলাদেশে মৌসুমি ফুল হিসেবে শীতকালে এর চাষ হয়। সাদা, হলুদ, কমলা, লাল, গোলাপী, বেগুনি বিভিন্ন রং এর বাহার ও গঠনের জন্য একে শীতের রানী বলা হয়। বাণিজ্যিকভাবে চন্দ্রমল্লিকা চাষের পাশাপাশি, মনের খোরাকে ছাদবাগান বা বারান্দা বাগানকে চন্দ্রমল্লিকায় সাজিয়ে তুলতে পারেন ফুলপ্রেমী বাগানী।

ফুল শেষ হয়ে যাবার পরে বসন্তে আপনার বহুবর্ষজীবী মা রোপণ করুন। এটি গাছগুলিকে রুট সিস্টেম স্থাপন করতে এবং প্রথম তুষারপাতের আগে শক্তি অর্জনের জন্য সর্বাধিক সময় দেয়। Chrysanthemums তিন ফুট লম্বা এবং দুই ফুট চওড়া পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। আপনার মাকে জায়গা দিন যাতে তাদের ভিড় না হয়। তাদের অগভীর শিকড় আর্দ্রতার জন্য অন্যান্য গাছের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারে না।

চন্দ্রমল্লিকা ফুল গাছের বিভিন্ন প্রজাতি:

চন্দ্রমল্লিকার বিভিন্ন প্রজাতির এবং বিভিন্ন ধরনের বৈচিত্র্যে আসে, প্রতিটি অনন্য বৈশিষ্ট্য এবং চেহারা সঙ্গে। নিম্নে কিছু ধরনের চন্দ্রমল্লিকার প্রজাতি উল্লেখ করা হল।

Garden Mums

গার্ডেন মামস চন্দ্রমল্লিকা প্রজাতির মধ্য সবচেয়ে জনপ্রিয় । এগুলি মরসুমে প্রায়শই বাগানে জন্মায় এবং বিভিন্ন রঙ এবং আকারে আসে।

Florist Mums

এই চন্দ্রমল্লিকা গুলি কাটা ফুল শিল্পের জন্য চাষ করা হয়। অন্যান্য প্রজাতির ন্যায় ফ্লোরিস্ট মামসের অভিন্ন আকৃতি রয়েছে এবং প্রায়শই ফুলের ব্যবস্থায় ব্যবহৃত হয়।


Spider Mums

মাকড়সার জালের ন্যায় লম্বা এবং নলাকার পাপড়ি থাকে যা তাদের একটি কাঁটাযুক্ত চেহারা দেয়, মাকড়সার পায়ের মতো। তারা প্রায়ই তাদের অনন্য চেহারা জন্য ফুলের প্রদর্শন ব্যবহার করা হয়।

Cushion Mums

কুশন মামস প্রজাতির ফুল গুলি ঘন পাঁপড়ি দ্বারা আচ্ছাদিত থাকে, ফুল গুলি বেশি বড় হয় না এবং বিভিন্ন রঙ এবং আকারে হয় এবং প্রায়শই বাগানে বিছানাপত্র হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

Pompon Mums

পম্পন, কুশন মামস প্রজাতির থেকে ছোট, গোলাকার আকৃতির, এবং ঘন প্যাকযুক্ত পাপড়ি থাকে, যা তাদের একটি পম-পোমের মতো চেহারা দেয়।

Anemone Mums

অ্যানিমোন মামস প্রজাতির ফুলের কেন্দ্র একটি গোলাকার ডিস্ক থাকে যার চারপাশে লম্বাটে পাপড়ি থাকে, যা একটি আকর্ষণীয় বৈপরীত্য তৈরি করে।

Button Mums

বোতামের মামস আকৃতিতে ছোট, বোতাম ফুলের ন্যায় দেখতে এবং একটি কেন্দ্রীয় ডিস্কের চারপাশে একক সারি পাপড়ি থাকে।

Quill Mums

কুইল মামসের পাঁপড়ি লম্বা এবং নলাকার আকৃতির হয় যা তাদের কুইলের মতো চেহারা দেয়।

Spoon Mums

স্পুন মামসের পাঁপড়ি লম্বা চামচ আকৃতির টিপস, যা তাদের চেহারায় একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য যোগ করে।

Incurve Mums

ইনকার্ভ মামসের পাপড়ি গুলি ভিতরের দিকে বাঁকিয়ে থাকে, এটি বলের আকৃতির বা গম্বুজের ন্যায় ফুল তৈরি করে।

Reflex Mums

রিফ্লেক্স মামসের পাপড়ি গুলি পিছনের দিকে বাঁকানো হয়, এবং কেন্দ্র থেকে দূরে থাকে, তাদের আরও খোলা এবং স্বাচ্ছন্দ্য দেয়।

Thousand Bloom Mums

এগুলি অনন্য ক্রিস্যান্থেমামের জাত যা একটি একক উদ্ভিদে অসাধারণ সংখ্যক ফুল তৈরি করতে পারে, একটি দর্শনীয় প্রদর্শন তৈরি করে।

Korean Chrysanthemums

এই চন্দ্রমল্লিকাগুলির একটি স্বতন্ত্র চামচ-আকৃতির পাপড়ির ন্যায় কনফিগারেশন রয়েছে এবং প্রায়শই কোরিয়ান সংস্কৃতি এবং শিল্পের সাথে যুক্ত থাকে।

Japanese Chrysanthemums

জাপানে, চন্দ্রমল্লিকা জাতীয় ফুল এবং সাংস্কৃতিক তাত্পর্য রাখে। বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী জাপানি ক্রাইস্যান্থেমাম জাত রয়েছে, প্রায়শই জটিল, স্তরযুক্ত পাপড়ি বিন্যাস দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।

Hardy Garden Mums

এগুলি হল ক্রিস্যান্থেমামের জাত যেগুলি আরও ঠান্ডা-সহনশীল এবং হিম সহ্য করতে পারে, এগুলি শরৎ এবং শীতের শুরুর বাগানগুলির জন্য উপযুক্ত করে তোলে।

চারা গাছ সংগ্রহ:

ভাল এবং উন্ন্যত মানের ফুল চাষের প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো উপযুক্ত জাত, সঠিক চারা এবং সঠিক স্থান নির্বাচন করা।

নার্সারি থেকে চারা কেনাবার সময়ে পঁচা পাতা , পাতায় কালো ছোঁপ দাগ অথবা কোঁকড়ানো বড়ো পাতা এই ধরনের চারা সংগ্রহ করবেন না। গাছ কেনার সময় অবশ্যই নীরোগ, সুস্ত-সবল গাছ কেনার চেষ্টা করবেন। নার্সারির থেকে চারা এনে পটিং করার আগে উপযুক্ত পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য তিন থেকে চার দিন সময় দিন। চার দিন পরে মার্টির সাথে অল্প পরিমান ফাঙ্গিসাইড মিশিয়ে নেবেন, তার পরে মাটিতে প্রতিস্থাপন করবেন।

দ্বিতীয়ত চন্দ্রমল্লিকা গাছের কাটিং প্রদ্ধতির মাধ্যমেও চারা প্রস্তুত করা যায়। কাটিং প্রদ্ধতির মাধ্যমেও চারা তৈরীর জন্য এক বছর বয়সী গাছের অগ্রভাগের আগা ৮ থেকে ১০ সেন্টিমিটার কেটে নিয়ে বালিতে বসিয়ে দিতে হবে। ১০ থেকে ১২ দিন পরে দেখবেন শিকড় তৈরী হয়ে গেছে। সাকার প্রদ্ধতির মাধ্যমে মা গাছ থেকে চারা তৈরী করবার জন্য আলাদা করে মা গাছগুলিকে ছায়াময় এবং সেডের নীচে রাখার ব্যাবস্থা করতে হয়। অধিক ফুল পেতে বর্ষার সময়ে চারা গাছ প্রস্তুত করে ফেলতে হবে।

চন্দ্রমল্লিকা ফুল গাছের স্থান নির্বাচন:

সঠিক স্থান ও মাটি উপর নির্ভর করে, আপনার গাছ কেমন হবে। যেখানে টানা সূর্যের আলো পায় তেমন জায়গা নির্বাচন করতে হবে এবং তুষারের সময়ে গাছ গুলিকে সর্বদা সেডের নিচে রাখবার ব্যাবস্থা করতে হবে। বর্ষার সময়ে টবে বা গাছের গোড়ায় জল জমা হলে গাছ সহজেই মাড়া যায় এবং গ্রীষ্মকালের তীব্র সূর্যের আলোতে পাতার কিনারা এবং আগার কঁচি পাতাগুলি কালচে বর্নের হয়ে যায়। চন্দ্রমল্লিকা গাছের জন্য সমতল অথবা ঢালু উভয় ধরনের স্থান নির্বাচন করা যেতে পারে।

চন্দ্রমল্লিকা ফুল গাছের চাষ:

চন্দ্রমল্লিকা টব এবং মাটি উভয় স্থানে রোপণ করা যায়
টবে চন্দ্রমল্লিকা চাষঃ জুলাই মাসের শেষের দিকে চন্দ্রমল্লিকার কাটিং বসাতে হয়। কাটিং বসানোর ১৫- ২০ দিন পর শিকড় সমেত কাটিংস ১২-১৩ সেমি. মাপের ছোট টবে লাগাতে হবে। আগষ্ট মাসের ২য় থেকে ৩য় সপ্তাহের মধ্যে অন্য টবে স্থান্তরিত করতে হবে। এক মাস পরে চারা ৮-১০ ইঞ্চি বড় মাপের টবে স্থান্তরিত করতে হবে।

টবে চন্দ্রমল্লিকা ফুল গাছের পারিচর্যা

টবের মাটি তৈরীঃ ৩ ইঞ্চি মাপের ছোট টবের ২ ভাগ পাতাপচা সার, ২ ভাগ দোঁয়াশ মাটি, ১ ভাগ গোবর সার মিশিয়ে সার মাটি প্রস্তুত করতে হবে। প্রয়োজনে মাটির সাথে পরিমান মত লাল বালি মিশিয়ে নিতে পারেন। পরবর্তী পর্যায়ের ৫ ইঞ্চি ও ৮-১০ ইঞ্চি মাপের জন্য টবের ৩ ভাগ দোঁয়াশা মাটি, ৩ ভাগ পাতাপচা সার ও চার ভাগ গোবর সার মিশিয়ে সারমাটি তৈরী করতে হবে। ৮-১০ ইঞ্চি বা ২০- ৩০সেমি.মাপের টবের সঙ্গে ৬ চামচ সুপার ফসফেট, তিন চামচ সালফেট অফ পটাশ এবং একমুঠ স্টিমড শিংকুঁচি এবং হাঁড়গুড়ো মিশিয়ে টবটি পুরোপুরি ভর্তি করতে হবে। টব ভরার দশদিন পরে ঐ মাটির সঙ্গে ২/৩ চামচ ছাই ও এক মুঠা পঁচা খৈল মিশিয়ে নিলে ভাল হয়। সার মাটি তৈরী করার সময় উপাদানগুলিকে গুড়া করে ৮ সেমি. ছিদ্রের চালুনি দ্বারা চেলে নিতে হবে। টব ভরার অন্তত একমাস পূর্বে সার মাটি তৈরী করে নিতে হবে এবং এ মিশ্রনের স্তুপকে মাঝে মাঝে ওলট-পালট করে ভালবাবে মিশাতে হবে।

[আরও পড়ুন: চন্দ্রমল্লিকা গাছ কি ভাবে সংরক্ষণ করবেন আগামী বছরের জন্য]

চন্দ্রমল্লিকা ফুল চাষের সময়:

চন্দ্রমল্লিকা রৌদ্রোজ্জ্বল এবং ঠান্ডা আবহাওয়া অধিক ফুল দিতে সক্ষম। নভেম্বর মাসের শেষ থেকে জানুয়ারী মাস চন্দ্রমল্লিকার ফ্লোয়ারিং সিজেন। শীতের মরসুমে পৃথিবীর সমস্ত স্থানে এ ফুলের চাষ করা হয়। জমি অথবা টবে চারা রোপণের উপযুক্ত সময় আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর। চন্দ্রমল্লিকা গাছে একবার নভেম্বর মাসের শেষ থেকে জানুয়ারী মাসে ফুল ফোটে এবং পুনরায় মার্চ মাসে দ্বিতীয় বার ফুল দেয়, বিশেষ কিছু চন্দ্রমল্লিকা গাছে।

জলবায়ু:

চন্দ্রমল্লিকা রৌদ্রোজ্জ্বল এবং ঠান্ডা আবহাওয়া (৫ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার) ভালো জন্মে। তবে হিমাঙ্কের নিচের তাপমাত্রা এড়ানো উচিত কারণ তাতে গাছের ক্ষতি করতে পারে বা মেরে ফেলতে পারে। গাছের সুস্থ বৃদ্ধি প্রচুর ফুলের জন্য সার প্রয়োগ অপরিহার্য কারণ চন্দ্রমল্লিকা প্রচুর পরিমাণে সার পছন্দ করে।

সার প্রয়োগ:

চন্দ্রমল্লিকা গাছ ফুল উৎপাদনের জন্য মাটি থেকে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য উপাদন শোষণ করে থাকে, এ কারণে মাটির সাথে পর্যাপ্ত পরিমানে জৈব সার মেশানো প্রয়োজন। প্রয়োজনে জৈব সারের পাশাপাশি রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা প্রয়োজন। চন্দ্রমল্লিকা গাছে গুলি যখন ৬ ইঞ্চি পাত্রে থাকবে তখন ৫ লিটার জলে ২৫০ গ্রাম সরিষার খোল ৫ দিনের জন্য ভিজিয়ে রাখতে হবে, ৫ দিন পর উপরের পাতলা হলুদ ২ লিটার জলে ১ লিটার সাধারণ জল মিশিয়ে নিতে হবে, গাছের গোড়ায় খোল জল দেওয়ার আগের দিন ৬ ইঞ্চি পাত্রের জন্য ৪ থেকে ৫ টি DAP/TSP দানা অল্প জলে ভিজিয়ে রাখবেন এবং গাছের গোড়ায় খোল জল দেওয়ার দিন তাতে মিশিয়ে নেবেন। তার পরে গাছের গোড়ায় দিতে হবে। কুঁড়ি উৎপাদনের পূর্বে এক লিটার জলে দুই গ্রাম Epsome সল্ট মিশিয়ে প্রত্যক ৩০ দিন অন্তর গাছে স্প্রে করবেন তাতে কুঁড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। আর কোনো রাসায়নিক সার এর প্রয়জোন হবে না। কুঁড়ি উৎপাদনের পূর্বে প্রতি ১০ দিন বা দুই সপ্তাহে একদিন NPK (10:26:26) সার দিন। সার দেওয়ার পরে, সার দ্রবীভূত করতে গাছকে জল দিন। প্রতি মাসে একবার গাছে সুষম সার দিন। বিকল্পভাবে, আপনি জৈব সার যেমন ভার্মিকম্পোস্ট বা গোবরসার অথবা পাতা পচা সারের সাথে অনুখাদ্য বা Micronutrients :Top Gold, Agromin Gold, Agromin Max ব্যাবহার করতে পারেন। উপরি প্রয়োগের পর সার মাটির সাথে মিশিয়ে সেচ দিতে হবে।

জল প্রয়োগ:

চন্দ্রমল্লিকার চারা বিকেলে প্রতিস্থাপন করে গোড়ার মাটি চেপে দিতে হয়। চারা লাগানোর পর হালকা সেচ দিতে হয়। গাছে এমনভাবে জল দিতে হবে যেন গোড়ায় বেশিক্ষণ জল জমে না থাকে। চারা রোপণের আগে এবং পরে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে পরিমাণমতো জল সেচ জরুরি। অতিরিক্ত জল টবের নিচে ছিদ্র দিয়ে বেরিয়ে যায়, তাই টবে গাছ প্রতিস্থাপনের পূর্বে অবশ্য টবের নিচে ছিদ্র রাখতে হবে জল নিষ্কাশনের জন্য।

আলম্ব:

চন্দ্রমল্লিকার ফুল সাধারণত ডালপালার তুলনায় বড় হয়। তাই গাছের গোড়া থেকে কুঁড়ি পর্যন্ত একটা শক্ত কাঠি পুঁতে দিতে হবে। এতে ফুল নুয়ে পড়বে না। চারা লাগানোর সময় কাঠি একবারেই পুঁতে দেওয়া ভালো। এজন্য জাত বুঝে চন্দ্রমল্লিকা গাছের উচ্চতা অনুযায়ী বাঁশের কাঠি চারার গোড়া থেকে একটু দূরে পুঁতে দিতে হয়।

[আরও পড়ুন: অ্যালিসাম ফুল গাছের প্রতিস্থাপন এবং যত্ন]

প্রিয় পাঠক, এই প্রতিবেদনটি পঠন করবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকের সহযোগিতা “ক্রিয়েটিভিটি গার্ডেনিং” সর্বদা কার্ম করে। গাছই আমাদের একমাত্র সম্পদ যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত করতে পারে, বাঁচিয়ে রাখতে পারে। নিঃস্বার্থে গাছ ভালবাসুন, সকলকে গাছ লাগাতে উৎসাহিত করুন।

আপনাদের যদি এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আমাকে জানাতে জানাবেন। সেগুলোর সমাধান করাবার আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব। আপনার মূল্যবান রেটিং দিয়ে উৎসাহিত করুন, সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, সবাই খুব ভালো থেকো নমস্কার।

5/5 - (1 vote)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *