ছাদবাগানে KaKa কীটনাশকের ব্যবহার

আজকে প্রতিবেদন থেকে আপনারা একটি জৈব পেস্টিসাইড সম্পর্কে জানবেন, যেটি গাছের ক্ষতিকারক মাইটস, থ্রিপস, এফিড এবং মিলিবাগ জৈবিক উপায়ে ধ্বংশ করে। এই জৈব কীটনাশক সকল বাগানীদের কাছে থাকা একান্ত দরকার। পুরনো বাগানী বা নতুন বাগান যারা করছেন সবাইকে এই জৈব কীটনাশক সম্পকে জানা প্রয়োজন।

এই জৈব পেস্টিসাইডের নাম কাকা, এটির মধ্য ল্যাকটোনস-০.৪% এলকালয়েড-০.২% আছে এটি কেন ব্যবহার করবেন? কখন ব্যবহার করবেন? কোন কোন গাছে ব্যবহার করবেন সমস্ত কিছু আজকে প্রতিবেদন থেকে জানতে হবে।

ছাদবাগানে KaKa কীটনাশকের ব্যবহার

বাজারে আরও অনেক প্রেস্টিসাইড রয়েছে, আমরা সেগুলো না নিয়ে কেন কাকা কাছে রাখবো। যারা সদ্য বাগান শুরু করেছে, যারা পেস্টিসাইডের ডোজ কতটা জানে না, তাদের জন্য কাকা কিন্তু খুবই ভালো একটি প্রোডাক্ট। কেন ভালো একটি প্রোডাক্ট? এটি সম্পূর্ণরূপে অরগ্যানিক এবং এরমধ্যে কোনো রকমের কেমিক্যাল কম্পোনেন্ট নেই। এটির গাছে যদি ওভারডোজ হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে কিন্তু কোনো সমস্যা হবে না।

বাড়িতে যদি কোনো পোষা প্রাণী বা বাচ্চা থাকে, তাহলে তার উপরে কেমিকাল পেস্টিসাইডের মতো কোনো রকম হার্মফুল ইফেক্ট তৈরি করবে না। অন্যান্য যে সকল রাসায়নিক পেস্টিসাইড আছে সেগুলো প্রাণ ঘাতক। আর যারা বাগানে সবজি করে, তাদের জন্য এটি একটি দারুণ প্রোডাক্ট। কারণ এটি সম্পূর্ণরূপে অর্গ্যানিক হওয়ার ক্ষতিকারক প্রভাব নেই।

কোন গাছে ব্যাবহারে বেশি সুফল পাওয়া যায়

বেগুন গাছ, লংকা গাছ, ক্যাপসিকাম গাছ, টমেটো গাছ। এই সকল গাছ আপনারা যদি ছাদ বাগানে করো, তাহলে একটা খুব কমন প্রবলেম আপনারা দেখতে পাবেন, সেটা হচ্ছে- মাইটস বা মাকড়ের আক্রমণ। মাকড়ের কাজ হচ্ছে- পাতার নীচে বাসা বেঁধে পাতা থেকে রস শোষণ করে খাওয়া এবং পাতার ক্লোরোফিল কণা আস্তে আস্তে কমিয়ে দেওয়া।

এতে লঙ্কা গাছ, বেগুন গাছ, টমেটো গাছগুলো প্রচণ্ড পরিমানে কিন্তু এফেক্টেড হয়। তো এরজন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের পেস্টিসাইড অ্যাপ্লাই করি, কিন্তু আল্টিমেট কোনো রকমের রেজাল্ট পাই না। আমরা যদি কাকা অ্যাপ্লাই করি, তাহলে কিন্তু দুর্দান্ত রেজাল্ট পাব। এবং এই সকল গাছগুলোতে খুব ভাল রকমভাবে কাজ করে। সর্বোপরি গাছের ফলনও প্রচুর পাওয়া যাবে।

এছাড়াও বিভিন্ন ফুল গাছ, যেমন – জবা, গোলাপ গাছেও এটি ব্যবহার করা যায়। উপরের উল্লেখিত গাছ ছাড়াও আপনার ছাদ বাগানের সবরকম ফল গাছে প্রয়োগ করতে পারেন। মোটামুটি মাকড়ের আক্রমনে যেসমস্ত রোগ গাছে হয়, সেগুলির একমাত্র ও উপযুক্ত সমাধান হল kaka কীটনাশক। এটি মাকড় নাশকের পাশাপাশি গাছের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।

KaKa কীটনাশক ব্যাবহারের পরিমান:

প্রতি লটার জলে দেড় থেকে দুই ML অর্থাৎ এক ML সমান প্রায় ২০ ফোঁটা, তাহলে দেড় থেকে দুই এমএল বলতে ৩০ থেকে ৪০ ফোঁটা প্রতি লটার জলে মেশাতে হবে। এটা জৈব পেস্টিসাইড হওয়ায় একটু কম বেশী হলে কোনো ক্ষতি হবে না, তা বলে অতিরিক্ত ব্যাবহার করা যাবে না। ব্যাবহার করবেন বিকেল বেলায়।

KaKa কীটনাশক ব্যাবহারের সময়:

শীতকালে kaka জৈব পেস্টিসাইড ব্যবহার করেন সকালে রোদ ওঠার পরে বা শিশির শুকিয়ে যাওয়ার পর। আর গরমের সময় এটি আপনারা ব্যাবহার করবেন ভোর বেলায় নাহলে সূর্য অস্ত যাবার পরে।

Kaka কীটনাশক প্রথম বার প্রয়োগ করবার পর ,১০ দিন ছাড় দিতে হবে, অর্থাৎ ১০দিন অন্তর স্প্রে করা যাবে। যদি গাছে অতিরিক্ত মাকড়ের আক্রমন ঘটে বা পাতা কুঁকড়ে যায়, সেক্ষেত্রে সাতদিন অন্তর অন্তর স্প্রে করতে পারেন। তাতে না কমলে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যাবহার করতে হবে, কীটনাশক প্রয়োগের ৬- ১০ দিন পর্যন্ত কোন ফসল তোলা ও খাওয়া যাবে না।

আপনার মূল্যবান রেটিং দিয়ে উৎসাহিত করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *