শীতের ফুল: টবভর্তি ফুল পেতে জারবেরা গাছের পরিচর্যা

Last updated on November 26th, 2023 at 06:37 pm

জারবেরা অত্যন্ত সুন্দর এবং সুগন্ধিত একটি ফুলের গাছ, যা শীতকালীন ফুল হিসাবে জারবেরা অসাধারণ। জারবেরা সাদা,লাল, হলুদ, পিংক, ম্যাজেন্টা, কমলা প্রভৃতি রঙের হয়। বর্তমানে টিস্যু কালচারের মাধ্যমে ভারতবর্ষে উন্ন্যত জাতের জারবেরা চাষ সম্ভব হয়ে উঠেছে। ভারতের ব্যাঙ্গালুরু, পুনে থেকে টিস্যু কালচারের মাধ্যমে যে চারা তৈরী হয়, তা প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, পাকিস্থান সহ অন্যান্য দেশে রপ্তানি করা হয়।

জারবেরা এ্যাসটারেসী পরিবারের অন্তর্গত বানিজ্যিক ফুল । ফুলটি এস্টেরিস বা ডেইজি গোত্রীয় হওয়ায় এর নামকরন হয় করা জারবেরা ডেইজি। জার্মান প্রকৃতিবিদ ট্রাগোট জার্বার এর নামানুসারে ফুলটির নামকরণ করা হয়েছে জারবেরা। জারবেরা গাছ বহুবর্ষজীবি এবং কান্ড হীন হয়  এবং এর উচ্চতা সর্বাধিক 1 ফুঁট (30-50 সে.মি.পর্যন্ত ) হতে পারে। ফুলগুলি একক বর্ণের অথবা বহু বর্ণময় হতে পারে। ফুলের দন্ড বেশ লম্বা হয়।

শীতের ফুল: টবভর্তি ফুল পেতে জারবেরা গাছের পরিচর্যা

জারবেরা বীরুৎ প্রজাতির উদ্ভিদ। এর আদিনিবাস বা উৎপত্তিস্থল হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা, এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা ও তাসমানিয়া বনাঞ্ছল অভিহিত করা হয়। জারবেরা ফুলের শীর্ষভাগ ডেইজির মতনই বলা চলে, তবে আধুনিক কৃষি ব্যাবস্থা(টিস্যু কালচারের মাধ্যমে) একে নতুন বিন্যাস দিয়ে আরোও সজ্জিত করেছে।

প্রজাতি

জারবেরা এ্যাসটারেসী পরিবারের এবং জারবেরা গণের অন্তর্গত ৪০টির মত প্রজাতি আছে। যে গুলির মধ্যে জারবেরা জ্যামেসোনি প্রজাতিটি চাষাবাদ হচেছ সংকরায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে । আকৃতি ইত্যাদির উপর নির্ভর করে জারবেরাকে নিম্নোক্তভাবে শ্রেণী বিন্যাস করা হয়েছে।

স্ট্যান্ডার্ডঃ ফুলের ব্যাস ১০-১২ সেঃ মিঃ , প্রতি বর্গ মিটারে বাৎসরিক ১২০-৩০০ টি ফুল পাওয়া যায়।

মিনিঃ ফুলের ব্যাস ৬-৯ সে.মি. ,প্রতি বর্গ মিটারে বাৎসরিক ২৮০-৫৫০টি ফুল পাওয়া যায়।

স্ট্যান্ডার্ড স্পাইডারঃ ফুরে ব্যাস ১০-১২ সেঃমিঃ , প্রতি বর্গ মিটারে বাৎসরিক ১৫০-২২৫টি পূল পাওয়া যায়।

মিনি স্পাইডারঃ ফুলের ব্যাস ৬-৮ সেঃমিঃ প্রতি বর্গ মিটারে বাৎসরিক ২৫০-৫০০টি ফুল পাওয়া যায়।

  • উল্লেখিত শ্রেণীগুলির মধ্যে নিম্নোক্ত জাতসমূহ বিশেষভাবে সমাদৃতঃ
  • লালঃ ক্যারাম্বোল, ডাষ্টি, রেড এক্সপ্লোশান, রুবী রেড।
  • পিংকঃ এমারন, চারমান্ডার, ইনগ্রীড, জাসকা, রোজালিন।
  • হলুদঃ কাবানা, রুনা, লিওনেলা, নাডজা, ইউরেনাস।
  • সাদাঃ ডালমা, ডেটি, গ্লোরিয়া, স্নোফ্লেইক।
  • কমলাঃ আলবার্টো, বগর, করিন্স, গোলিয়াথ, মিসটিক।
  • অন্যান্যঃ এইডা, এসট্রেলা, মনেট, নেভাডা (ক্রিম)।
জারবেরা ফুলের প্রকারভেদ
জারবেরা ফুলের প্রকারভেদ

জারবেরা জামেসোনিই:দক্ষিণ আফ্রিকার নেটিভ, ফুল ফুল টেম্পাস স্পারস, খুব পাতলা পাপড়ি যা রঙের উজ্জ্বল লাল এবং বেশ বড়। এটি একটি সুন্দর সীমানা তৈরি করে, প্রধানত এটির লাল রঙের ছায়াটির কারণে এবং এটি ভাস এবং পাত্রে ভাল দেখায়। একটি নমনীয় চিরহরিৎ উদ্ভিদ, ডিস্ক বিভিন্ন আর্দ্র মাটি এবং পূর্ণ সূর্য সেরা।

স্ট্যান্ডার্ড স্পাইডারঃ আলাস্কা ( সাদা ), আরিয়া মার ( গোলাপী ), টমা ( কমলা ), ইয়েলো ব্রাশ ( হলূদ )।

মিনি স্পাইডারঃ ক্রিসপি ( সাদা ), ক্রেজি ( হলুদ ),ডার্ক স্পিনার ( লাল ), হিপ্পি ( লাল ), জিপ্পী ( কমলা )।

চারা গাছ সংগ্রহ:-

ফুল চাষের প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো উপযুক্ত জাত, সঠিক চারা এবং সঠিক স্থান নির্বাচন। বাণিজ্যিক চাষাবাদের জন্য “জারবেরা জেসমনি বোলাস” দারুন উপযুক্ত।

নার্সারি থেকে চারা কেনার সময়ে পঁচা পাতা , পাতায় কালো বা ছোঁপ-ছোঁপ দাগ, পাতায় জলের মতো দাগ অথবা কোঁকড়ানো বড়ো পাতা এই ধরনের গাছ নেবেন না। গাছ কেনার সময় অবশ্যই নীরোগ, সুস্ত-সবল গাছ কেনার চেষ্টা করবেন। নার্সারির থেকে চারা এনে পটিং করার আগে জলের মধ্য ফাঙ্গিসাইড গুলে ১০ থেকে ২০ মিনিটের রেখে দেবেন অথবা মার্টির সাথে অল্প পরিমান ফাঙ্গিসাইড মিশিয়ে নেবেন, তার পরে মাটিতে প্রতিস্থাপন করবেন। জারবেরা গাছ সাধারণত দুই ধরণের হয়ে থাকে যথাক্রমে গাছের গোড়া থেকে বেরোনো দেশী জারবেরা আর একটা টিস্যুকালচার এর জারবেরা।

জারবেরা গাছের জন্য মাটি তৈরী :-

দ্রুত জল নিষ্কাশনযোগ্য হালকা উর্বর দোঁয়াশ বা বেলে দোঁয়াশ মাটি জারবেরা চাষের জন্য উত্তম। অর্থাৎ গাছের জন্য এমন মাটি তৈরি করতে হবে যাতে আর্দতাও থাকবে অথচ মাটিতে জল ও দাঁড়াবে না, এই ধরনের মাটি শীতকালীন ফুল গাছ অ্যালিসাম, আস্টার, ডালিয়া গাছের জন্য উপযুক্ত। টবে জারবেরা প্রতিস্থাপনের জন্য জৈব সার ও মাটির ও কোকোপিট অনুপাত ৩০ : ৫০: ২০ হওয়া ভাল। জারবেরা ফুল( gerbera full) চাষের জন্য মাটির Ph মান ৫.৫ থেকে ৬.৫ এর মধ্যে হওয়া দরকার । জারবেরার চাষের জন্য প্রচুর জৈব সার থাকা দরকার এজন্য প্রচুর পরিমানে গোবর সার, পাতাপচা সার বা ভার্মিকম্পোষ্ট ইত্যাদি প্রয়োগ করতে হবে।

মাটি তৈরীর সময়ে হাড়গুড়ো, সিংকুচি ও নিমখোল এবং সাথে 2 চামচ পাতা পোড়ানো ছাই মেশাতে পারলে ভালো হয়, ছাই যেমন গাছ কে পটাসিয়াম এর যোগান দেবে এবং গাছকে রোগ মুক্ত রাখবে এবং মাটিকে অম্লিক বা এসিডিক হতে দেবে না। এই সমস্ত কিছু এক সাথে মিশিয়ে নিয়ে ৮ ইঞ্চি টবের ক্ষেত্রে এক চামচ সুপার ফসপেট মাটির ওপারে ছড়িয়ে দিয়ে ওপর থেকে জল ছিটিয়ে মাটি টা ৭ থেকে ১০ দিন রেখে দেবেন। গাছ লাগানোর আগে ওই মাটি পুনরায় একবার মিশিয়ে নেবেন তার পারে চারা গাছ প্রতিস্থাপন করবেন।

জলবায়ু:

জারবেরা তুলনামূলক কষ্টসহিষ্ণু গাছ এবং সব ধরনের জলবায়ুত এবং মাটিতে বেড়ে উঠতে সক্ষম। সঠিক যত্ন করলে সারা বছর ধরেই অল্পবিস্তর ফুল পাওয়া যায়। তবে ফেব্রুয়ারি-মে হল ফুলের আদর্শ সময়। শীতের সময়ে সরাসরি সূর্যের আলো পায় তেমন স্থানে টবগুলিকে রাখবেন। ভারতবর্ষে শীতের শেষ এবং গরমের শুরু থেকেই ফুল ফোটা শুরু করে। গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে সারাবছর পলি সেড করে সারাবছরই ভালো ফুল পাওয়া যায় এবং নাতিশীতোষ্ণ (Tropical) অঞ্চলে এ গাছ গুলিকে গ্রীনহাউজে রেখে চাষ করা হয় ।

শীতকালে টবের গাছগুলিকে সম্পূর্ণ সূর্যের আলোতে রাখতে হবে এবং গরমকালে টপগুলি সকালের সূর্যের আলো পায় এবং বিকালে সূর্যের আলো পায় এমন স্থানে রাখবেন দুপুরের রোদ যেন সরাসরি না পায় তেমন স্থানে রাখবেন।

গাছে সার প্রয়োগ:-

গাছ বসানোর পরে নতুন শিকড় গজানো শুরু হবার এক মাস পরে সুষম তরল সার প্রয়োগ করতে হবে। গাছের বৃদ্ধিকে তরান্বিত করতে ও গাছ থেকে প্রচুর ফুল পেতে নির্দিষ্ট সময়ে গাছে সার প্রয়োগ করতে হবে। গাছ লাগানোর ৩০ দিন পর থেকে মাসে দুইবার করে ৫ লিটার জলে ২৫০ গ্রাম সরিষার খোল ৫ দিনের জন্য ভিজিয়ে রাখতে হবে, ৫ দিন পর উপরের পাতলা হলুদ জল ২ লিটার জলে ১ লিটার মিশিয়ে নিতে হবে, এবং সন্ধাতে গাছের গোড়ায় দিতে হবে। এক লিটার জলে দুই গ্রাম Epsome সল্ট মিশিয়ে প্রত্যক ৩০ দিন অন্তর একবার মাটিতে দেবেন। আর কোনো রাসায়নিক সার এর প্রয়জোন হবে না। কিছু মাস পর অল্প জৈব সার দিলে ভালো হয়। জৈব সারের মধ্য কলার খোসা, ডিমের খোসা, হাঁড় গুড়ো, শিং কুঁচি , পাতাপচা সার প্রভৃতি ব্যাবহার করা যেতে পারে ।

বংশবিস্তার:

জারবেরা ফুলের বীজ থেকে চারা তৈরী হয়, এছাড়াও সাকার উৎপাদনের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি ঘটানো হয়। মাতৃগাছ থেকে বারবার চারা উৎপাদন করলে এ ফুলের গুণগত মান ও উৎপাদন হ্রাস পায়। অধিক ফুলের জন্য এবং জীবাণুমুক্ত চারার জন্য টিস্যু কালচার আবশ্যক। একবার চারা রোপণ করলে অনেক বছর ফুল পাওয়া যায়। চারা রোপণের প্রথম বছর থেকে ফুল আশা শুরু হয়। জারবেরা একটি বীরুৎজাতীয় বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। সঠিক পরিচর্যা করলে একটি গাছ থেকে বছরে ৪০ থেকে ৫০টি ফুল পাওয়া যায়।

জারবেরা ফুলের বীজ
জারবেরা ফুলের বীজ

[আরও পড়ুন: ঝিন্টি গাছে প্রচুর ফুল পেতে কি ভাবে পরিচর্যা করবেন]

[আরও পড়ুন: অ্যালিসাম ফুল গাছের প্রতিস্থাপন এবং যত্ন]

পোকা- মাকড় দমন:-

১। সাদা মাছি ( White fly )

গরম ও শুষ্ক মাসে, সাদামাছি পাতা ও ফুলের রস চুষে মারাত্মক ক্ষতি করে। মেটাসিস্টক্স (0.1%) বা এন্ডোসালফান (0.1%) ব্যবহার করে মাছের কৃমি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

২। পাতা সুড়ংকারী পোকা ( Leaf minor )

শুঁয়োপোকা গুলো পাতার মধ্যে ঢুকে সবুজ অংশ খায়। আক্রান্ত পাতা কুঁচকে যায় এবং সূর্যালোকের সংস্পর্শে এলে অসংখ্য জার-সদৃশ টানেল দেখা যায়। আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে ধ্বংস করতে হবে এবং যদি ফসলে পোকামাকড়ের আক্রমণের লক্ষণ দেখা যায় তবে রাগর (০.১%) বা পারমেথ্রিন (০.১%) আলাদাভাবে প্রয়োগ করুন।

৩। জাব পোকা ( Aphid )

জাব পোকা জারবেরার কচি পাতা ও ফুলের কুঁড়ি খায়। লিফফপার আক্রমণ এবং ছত্রাকের আক্রমণে পাতা কুঁচকে যায়। মেটাসিস্টক্স (0.1%) বা মেরিক (0.2%) নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।

৪। মাকড় বা মাইট ( Mite )

গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ায় জারবেরাতে মাকড়সার আক্রমণ বেশি দেখা যায়। মাকড়সার আক্রমণে কচি পাতার আকৃতি নষ্ট হয়ে যায় এবং অবশেষে পাতা শুকিয়ে যায়। নিউক্রন (0.2%) বা ক্যালথেন (0.1%) সেপার দিয়ে মাকড়সা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

৫। থ্রিপস ( Thrips )

এই ক্ষুদ্র পোকা ফুলের ছোট অংশ খায় এবং ফুলকে বিবর্ণ করে দেয়। আক্রমণ গুরুতর হলে, ফুলের কুঁড়ি প্রায়ই ফুটে না বা অস্বাভাবিক আকারের হয়। এই পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ম্যালাথিয়ন (0.1%) বা ডায়াজিনন (0.1%) নিয়মিত আলাদাভাবে প্রয়োগ করা হয়।

৬| দয়ে-পোকা (Mealybug)

বন্ধু পোকা ক্রাইসোপার্লা @ ৪০০০০-৫০০০০ /একরে  জমিতে ছাড়তে হবে।

অ্যাজাডাইরেকটিন ১০০০০ পি পি এম @ ৩ মিলি /লিটার জলে গুলে স্প্রে করতে হবে।

প্রিয় পাঠক, এই প্রতিবেদনটি পঠন করবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকের সহযোগিতা “ক্রিয়েটিভিটি গার্ডেনিং” সর্বদা কার্ম করে। গাছই আমাদের একমাত্র সম্পদ যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত করতে পারে, বাঁচিয়ে রাখতে পারে। নিঃস্বার্থে গাছ ভালবাসুন, সকলকে গাছ লাগাতে উৎসাহিত করুন।

আপনাদের যদি এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আমাকে জানাতে জানাবেন। সেগুলোর সমাধান করাবার আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব। আপনার মূল্যবান রেটিং দিয়ে উৎসাহিত করুন, সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, সবাই খুব ভালো থেকো নমস্কার।

FAQ [Frequently Asked Questions]

জারবেরা গাছের জন্য কেমন মাটি প্রয়োজন?

জারবেরা গাছের জন্য দ্রুত জল নিষ্কাশনযোগ্য হালকা উর্বর দোঁয়াশ বা বেলে দোঁয়াশ মাটি উত্তম। জারবেরা ফুল( gerbera full) চাষের জন্য মাটির পি এইচ মান ৫.৫ থেকে ৬.৫ এর মধ্যে হওয়া দরকার । জারবেরার জমিতে প্রচুর জৈব সার থাকা দরকার এজন্য প্রচুর পরিমানে গোবর সার, পাতাপচা সার ইত্যাদি প্রয়োগ করতে হবে, এগুলি মাটিকে অম্লিক বা এসিডিক হতে দেবে না।

জারবেরা গাছের জন্য সেরা সার কি?

শীতের শুরু থেকে প্রতি ১৫ দিন অন্তর ৫ লিটার জলে ২৫০ গ্রাম সরিষার খোল ৫ দিনের জন্য ভিজিয়ে রাখতে হবে, যেদিন গাছে খোল জল দেবেন তার আগের দিন টব পিছু ৫ থেকে ৭ টি করে DAP/TSP খোল জলে মিশিয়ে দেবেন । ৫ দিন পর উপরের পাতলা হলুদ ২ লিটার জলে ১ লিটার সাধারন জল মিশিয়ে নিতে হবে, এবং সন্ধাতে গাছের গোড়ায় দিতে হবে। এক লিটার জলে দুই গ্রাম Epsome সল্ট মিশিয়ে প্রত্যক ৩০ দিন অন্তর একবার মাটিতে দেবেন। আর কোনো রাসায়নিক সার এর প্রয়জোন হবে না। কিছু মাস পর অল্প জৈব সার দিলে ভালো হয়। জৈব সারের মধ্য কলার খোসা, ডিমের খোসা, হাঁড় গুড়ো, শিং কুঁচি , পাতাপচা সার প্রভৃতি ব্যাবহার করা যেতে পারে।

জারবেরা ফুল কত রঙের হয়?

জারবেরা সাদা,লাল, হলুদ, গোলাপী, ম্যাজেন্টা, কমলা এছাড়াও মিশ্রিত রঙের হয়। উজ্জ্বল এবং সুন্দর রঙের ফুল পাবার জন্য উপযুক্ত জাত, সঠিক চারা নির্বাচন করতে হবে।

জারবেরার কি পূর্ণ সূর্যের আলো প্রয়োজন হয়?

জারবেরার সর্বোত্তম ফুলের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ছয় ঘন্টা সূসূর্যের আলো প্রয়োজন হয়, তবে গ্রীষ্মমন্ডলীয় দক্ষিণ এবং উপকূলীয় বাগানীদের দুপুরের তাপ থেকে জারবেরা ডেইজিকে রক্ষা করতে হবে। এমন স্থানে গাছ রোপণ করুন যেখানে জারবেরা সকালের পূর্ণ সূর্যের আলো পাবে।

1/5 - (1 vote)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *