সারা বছর টবে গোলাপ গাছের যত্ন কি ভাবে করবেন

গোলাপ মূলত শীতকালীন ফুল, তবে সারা বছরই এখন গোলাপ চাষ করা হচ্ছে। গোলাপ ফুল হলো সৌন্দর্য্য ও লাবন্যের প্রতীক। বহু শতাব্দী ধরে উদ্যানপালক এবং ফুল উত্সাহীদেরকে তাদের সূক্ষ্ম সৌন্দর্য এবং মোহনীয় সুগন্ধে মুগ্ধ করেছে, সেই কারনে হয়তো গোলাপকে “ফুলের রানী” হিসাবে উল্লেখ করা হয়।

তবে বর্তমানে এর চাহিদা ও সৌন্দর্য্যের কারণে বাণিজ্যিক ভাবে সারা বছরই গোলাপ চাষ করা হচ্ছে। গোলাপের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় গোলাপ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। গোলাপ চাষ করবার জন্য জ্ঞান, ধৈর্য এবং নিবেদিত যত্নের সমন্বয় প্রয়োজন, একজন নবীন উদ্যানপালকের কাছে গোলাপ চাষের জন্য এগুলি থাকা প্রয়োজন। তবেএই বিস্তৃত প্রতিবেদন থেকে, নবাগত বা অভিজ্ঞ সকলে গোলাপ গাছের যত্নের প্রয়োজনীয় দিকগুলি অন্বেষণ করতে পারবেন, সঠিক জাত নির্বাচন থেকে শুরু করে প্রতিটি বৃদ্ধির পর্যায়ে তাদের লালন-পালন করা পর্যন্ত।

সারা বছর টবে গোলাপ গাছের যত্ন কি ভাবে করবেন

সঠিক গোলাপের জাত নির্বাচন করা:

গোলাপ গাছ প্রতিস্থাপন করবার আগে , আপনার বাগানের অথবা জলবায়ুর সাথে সামজ্ঞপূর্ণ সঠিক জাতগুলি বেছে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীতে বিভিন্ন জাতের গোলাপ আছে, তার মধ্যে আমাদের দেশে চাষ হয় এমন কিছু জাতসমূহ হলোঃ তাজমহল, মিরান্ডি, পাপা মেলান্ড, ডাবল ডিলাইট, প্যারাডাইস, ব্লু-মুন, টাটা সেন্টার, মন্টেজুমা, সিটি অব বেলফাষ্ট ইত্যাদি। হাইব্রিড সহ ফ্লোরিবুন্ডাস, ঝোপঝাড় বিশিষ্ট এবং ক্ষুদ্রাকৃতির গোলাপ সহ বিভিন্ন ধরনের গোলাপ পাওয়া যায়। আপনার বাগানের জন্য গোলাপ নির্বাচন করার সময় জলবায়ু, মাটির অবস্থা এবং ব্যক্তিগত পছন্দগুলির মতো বিষয়গুলি বিবেচনা করুন।

Hybrid Tea Roses:

  • এই প্রজাতির ফুলগুলি ক্লাসিক, মার্জিত চেহারা জন্য পরিচিত.
  • লম্বা কান্ডে একক, উচ্চ-কেন্দ্রিক ফুল, কাটার জন্য বিশেষ পরিচিত।
  • জাতের মধ্যে ‘মিস্টার লিংকন,’ ‘কুইন এলিজাবেথ,’ এবং ‘শান্তি’ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

Floribunda Roses

  • এই প্রজাতির ফুলগুলি প্রতিটি কান্ডের অগ্রভাগে গুচ্ছ কারে ফোটে।
  • এগুলি পুরো ঋতু জুড়ে প্রচুর সংখ্যায় অবিচ্ছিন্ন ফুলের প্রস্তাব দেয়।
  • জাতের মধ্যে রয়েছে ‘আইসবার্গ,’ ‘ইউরোপিয়ানা,’ এবং ‘সানস্প্রাইট।’

Grandiflora Roses

  • এটি Hybrid Teaএবং ফ্লোরিবুন্ডা গোলাপের একটি সংকর প্রজাতি।
  • লম্বা কান্ডে বড়, একক বা গুচ্ছ করে ফুল ফোটে।
  • জাতের মধ্যে রয়েছে ‘কুইন এলিজাবেথ’ এবং ‘ক্রিসলার ইম্পেরিয়াল’ জনপ্রিয় গ্র্যান্ডিফ্লোরা জাত।

Shrub Roses

  • এই প্রজাতির গাছগুলি গুল্ম প্রকৃতির ঝোঁপের ন্যায় শক্ত, কম রক্ষণাবেক্ষণের গোলাপ।
  • পাত্রে রোপণ এবং অনানুষ্ঠানিক বাগান সেটিংস জন্য উপযুক্ত।
  • বৈচিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘নক আউট’, ‘ডেভিড অস্টিন রোজেস’ এবং ‘কেয়ারফ্রি ডিলাইট।’

এছাড়াও Climbing Roses, Miniature Roses, Groundcover Roses, Standard Roses, Old Garden Roses, Wild Roses, Cottage Roses, English Roses (David Austin Roses), Hybrid Musk Roses, Tea Roses, Noisette Roses প্রজাতি আছে, যেগুলি আকার এবং আকৃতিতে ভিন্ন হয়।

গোলাপ গাছের যত্ন

চারা গাছ নির্বাচন ও সতর্কীকরণ:

গাছ কেনার ক্ষেত্রে সঠিক জাত নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরি। গোলাপ মূলত শীত এবং নাতিশীতোষ্ণ জাতীয় জলবায়ু অঞ্চলের ফুল। বেশি উষ্ণ কিংবা আদ্র আবহাওয়া গোলাপ গাছের জন্য উপযুক্ত নয়। গোলাপের চারা রোপণের আদর্শ সময় বছরের শেষ যেমন অক্টোবর থেকে শুরু করে ফেব্রুয়ারি মাস। তবে সব ধরনের গোলাপের জাত আমাদের আবহাওয়ার সাথে চাষ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। চারা গাছ সংগ্রহের সময়ে কিছু কিছু কথা অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত।

  • কখনোই একটি ডালের দুর্বল গাছ কেনা যাবে না।
  • গাছ কেনার সময় অবশ্যই গাছের গোড়া মোটা এবং ঝোপালো গাছ দেখে কিনতে হবে।
  • একটি সুস্থ গাছ দেখলেই চেনা যায়। কেনার আগে অবশ্যই গাছটিকে পর্যবেক্ষণ করে দেখতে হবে। যেমন- গাছের পাতায় কোন রোগ পোকার আক্রমণ আছে কিনা। গাছের পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছে কিনা, এবং গাছে কোনরকম ডাইব্যাক আছে কিনা। এভাবে সবকিছু খেয়াল করে একটি সুস্থ গাছ নিতে হবে।
  • পলিথিনে রাখা চারা সংগ্রহ করবার সময়ে দেখে নেবেন পলিথিনের ছিদ্র দিয়ে শিকড় দেখা যাচ্ছে কি না, দেখা গেলে সেই চারা সংগ্রহ করবেন।
  • কিছু ক্ষেত্রে পলিথিনে রাখা গাছে প্লাস্টিকের ক্যাপ লাগানো থাকে, কেনার পূর্বে তা দেখে নিতে হবে।

গোলাপ গাছের জন্য টব নির্বাচন:

গোলাপ গাছের জন্য টব নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, টবের সাইজ গাছের জাত ও আকারের ওপর নির্ভর করে।

  • জাত ও আকারের ওপর নির্ভর করে।
  • ছোট জাতের গাছ হলে 8 থেকে 10 ইঞ্চি টব ভালো।
  • এবং বড় জাতের হলে 12 ইঞ্চি অথবা এর থেকে বড় টব বাছাই করাই উত্তম।
  • গোলাপ গাছের জন্য সর্বদা মাটির ছিদ্র যুক্ত টব নির্বাচন করা উচিত, প্লাস্টিকের তুলনায় মাটির টবের জল নিকাশি ব্যাবস্থা ভাল হয়। টবে অতিরিক্ত জল থাকলে তা absorb করে নেই।

টবের জল নিষ্কাশনের ব্যাবস্থা উন্ন্যতি:

কোন গাছই অতিরিক্ত জল পছন্দ করেনা। তাই জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা উন্ন্যতি করতে হবে, তা না হলে গাছের গোড়া এবং শিকড় পঁচে যাবার সম্ভবনা থাকে।এজন্য টবের নিচে অধিক ছিদ্র করে দেওয়া ভালো।

  • ১)প্রতিটি ছিদ্র উপরে ঢেউ খেলানো খোলামকুচি অথবা বড় পাথরের টুকরো দিতে হবে।
  • ২)তার উপরে একমুঠো নুড়ি পাথর দিতে হবে।
  • ৩) তৃতীয় স্তরে বালুর একটি লেয়ার তৈরি করে দিতে হবে। মনে রাখা জরুরী জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা যত ভালো হবে গাছ ততো ভালো থাকবে।

গোলাপ গাছে মাটি তৈরি:

প্রতিটি গোলাপ গাছে জন্য প্রায় এক ধরনের মাটি তৈরির প্রয়োজন হয়। ছাদ বাগানের ক্ষেত্রে অবশ্যই মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। মনে রাখবেন গোলাপ গাছে জন্য দোঁয়াশ অথবা বেলে দোঁয়াশ মাটি একদম উপযুক্ত,এতে করে মাটির শিকড় আঁটসাঁট হয়ে থাকবে না। মাটির গঠন এবং উর্বরতা উন্নত করার জন্য মাটির সাথে জৈব সার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মাটি তৈরীর জন্য টবের মাটিকে তিন ভাগে ভাগ করতে হবে। ৩০% মাটি, ৩০% গোবর সার,৩০% ভার্মিকম্পোস্ট এবং ১০% হাঁড়েরগুড়ো,শিংকুঁচি এবং একমুঠো নিমখাল দিতে হবে। গোবর সারের পরিবর্তে কাঠের চাই, কাঠের গুঁড়ো,ধানের চিটা অথবা কোকোপিট দেওয়া যাবে। মাটির ওজন হালকা রাখতে হবে,এতে করে টব ভারওয়েট হবে না এবং টবের জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্ন্যতি হবে। মাটি ঝুরঝুরে হলে গাছের শিকড় খুব সহজেই বৃদ্ধি পাবে।

মাটির pH মাত্রা 6.0 থেকে 6.5 এর মধ্যে হলে সেই মাটিতে গোলাপ ফুল ভরে ওঠে। মাটির pH নির্ধারণ করতে pH মিটার সাথে রাখুন এবং প্রয়োজনে মাটি সংশোধন করুন।

গোলাপ গাছ প্রতিস্থাপনের উপযুক্ত সময়:

বছরের যেকোনো সময়েই গোলাপের চারা প্রতিস্থাপন করা যায়। তবে সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর এবং জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ অর্থাৎ আশ্বিন-কার্তিক, মাঘ ফাল্গুন গোলাপ গাছ প্রতিস্থাপনে উত্তম সময়।

গোলাপ গাছ কেমন জায়গায় রাখা উচিত:

গোলাপ গাছ সূর্যের আলো ভীষন পছন্দ করে। গাছের সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং প্রস্ফুটিত সম্ভাবনার জন্য তাদের সঠিক পরিমাণে সূর্যালোক প্রদান করা অপরিহার্য। গোলাপ গাছ এমন জায়গায় রাখবেন যাতে প্রতিদিন কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা সরাসরি সূর্যের আলো পায়। পর্যাপ্ত সূর্যালোক শুধুমাত্র দৃঢ় বৃদ্ধিই নয়, ফুলের রঙ এবং সুবাসও বাড়ায়।

তবে গরমের মরসুমে গোলাপ গাছে ফুল থাকা অবস্থায় অতিরিক্ত রোদ লাগা থেকে দূরে রাখতে হবে এতে করে ফুলের রং নষ্ট হয়ে যায়। বর্ষাকালে গোলাপ গাছে কোন সার প্রয়োগ করবেন না এবং টবগুলিকে সেডের নীচে রাখবেন কারণ এতে করে বৃষ্টির জল জমে গাছ নষ্ট করে দিতে পারে।

গোলাপ গাছে জল দেওয়ার নিয়ম:

সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং পর্যাপ্ত জল দেওয়া গোলাপ গাছের সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। গভীর শিকড়ের বৃদ্ধিকে উত্সাহিত করতে গাছের গোড়ায় গভীরভাবে জল দিতে হবে। ছত্রাকজনিত রোগের ঝুঁকি কামাতে গাছে সামঞ্জস্য বজায় রেখে জল দিতে হবে।

  • শীতের মরসুমে চারা গাছ প্রতিস্থাপন করলে, প্রতিস্থাপনের সময়ে মগ ভর্তি করে জল দেবেন এবং টবটিকে রৌদ্রে রাখবেন গাছ লাগানোর পরে টবে ঘন ঘন জল দেবেন না।
  • গাছে নতুন ডালপালা ছাড়ার সময়ে এবং কুড়ি তৈরীর সময়ে মাটি সর্বদা আদ্র রাখতে হবে খরা মৌসুমে প্রতি ১ দিন পর পর টবের মাটিতে জল দিতে হবে।
  • গরমের সময়ে গাছের গোড়ায় জল দেবেন সকাল ৮ টার মধ্য এবং সন্ধায় সূর্য অস্ত যাবার পরে।
  • প্রত্যেকবার জল দেওয়ার পরে গাছের উপরের মাটি ঝরঝরে করে নিয়ে পরবর্তী সময়ে জল দিতে হবে।

গোলাপ গাছের প্রুনিং করবার সময়:

ফুল আসার দু মাস আগে অবশ্যই গোলাপ গাছের প্রুনিং করে দিতে হবে। বর্ষার পরে গোলাপ গাছের প্রুনিং করবার আদর্শ সময়, কারণ বর্ষায় বৃষ্টির জল পেয়ে সমস্ত গাছের ডাল-পালা তরতরিয়ে বেড়ে ওঠে। প্রুনিং এর সাথে টবের মাটি পরিবর্তন এবং শিকড় ছাঁটাই সম্পূর্ন করে ফেলবেন। প্রুনিং পরে প্রতি টবে তিন মুঠো গোবর সার অথবা ভার্মি কম্পোস্ট, একমুঠো হাড়ের গুঁড়ো দিতে হবে। এছাড়া প্রতি 15 দিন অন্তর অন্তর সরিষা খৈল পচা জল দিতে হবে।

টবে গোলাপ গাছের যত্ন

গোলাপ গাছের খাবার:

শীতের মরসুমে গোলাপ গাছে খাবার বেশিই প্রয়োজন হয়। এই সময়ে গাছ যেহেতু বেশি ফুল দেয়, সেহেতু গোলাপ গাছে সারের চাহিদাও থাকে বেশি। বর্ষা শেষ হলেই গাছ ছাঁটাইয়ের ৭-১০ দিন আগে সার প্রয়োগ করতে হবে। গাছ প্রতি পরিমান মতো পঁচা শুকনো গোবরের সার সঙ্গে ডিমের খোসা, এক চামচ টিএসপি/ ডিএপি ও এক চামচ পটাশ এগুলো একসঙ্গে ভালো ও ঝুরঝুরে করে মিশিয়ে নিন। টবের উপর থেকে ১০ সেন্টিমিটার মাটি সরিয়ে নিচের মাটি কিছুটা আলগা করে সারগুলো মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। এসময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে শিকড়ের কোন ক্ষতি না হয়। এই অবস্থায় দু’দিন সেমিশেডে রেখে টব আগের জায়গায় দিন।

চারা রোপণের ছয় মাস পর থেকে নির্দিষ্ট আকারে জৈব এবং রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হবে। ফুল উৎপাদনের জন্য পাতা সার আর ফলিয়ার স্প্রে খুব জনপ্রিয়। । অনেক সময় গাছের পাতায় পোকার উপস্থিতি গাছের শক্তি কমিয়ে আনে। এতে করে গাছে ফুল কম ফুটে এবং খুব জলদি গাছ মুছড়ে যায়। সেই ক্ষেত্রে ম্যাগনেসিয়াম সালফেট, ফেরাস সালফেট এক চামচ এক লিটার জলে মিশিয়ে গাছের পাতার উভয় পাশে স্প্রে করলে তাতে পোকার উপদ্রব কমে যায়।

[আরও পড়ুন: Azalea-এজেলিয়া ফুল গাছের যত্নের জন্য একটি ব্যাপক নির্দেশিকা]

গোলাপ গাছের বিশেষ পরিচর্যা:

  • ১. চারার জোড়া জায়গাটির নিচে কোন প্রকার ডালপালা বার হলে ধারালো ছুরি দিয়ে কেটে দিতে হবে।
  • ২. বড় আকারে ফুল পেতে প্রথম দিকে বের হওয়া পুষ্পকুড়ি ভেঙে দিতে হবে।
  • ৩. গরমে শুরু থেকে অর্থাৎ মার্চ-এপ্রিল মাসের দিকে কোকোপিট, গাছের ছাল এবং কম্পোস্টের মালচ গাছের গোড়ায় দিতে হবে।
  • ৪. পুরান ডালে ফুল শেষ হয়ে যাবার পরে ডালপালা ছাঁটাই করতে হবে।
  • ৫. ডাল ছাঁটাই করবার পরে কাটা অংশে ফাংগিসাইড /অ্যালোভেরা জেল/ দারুচিনি গুঁড়ো/ মধু ঘন করে গুলে লাগিয়ে দিতে হবে।
  • ৬. বছরে একবার করে টবের মাটি পরিবর্তন এবং শিকড় হালকা ভাবে ছাঁটতে হবে।
  • ৭. ক্ষতিকর পোকামাকড় ধ্বংস করতে টবে হলুদ গুড়ো অথবা নীমখোল ব্যাবহার করবেন।
  • ৮. গোলাপ গাছে লাল মাকড়,বিটল পোকা, থ্রিপস ও জাব পোকার আক্রমণ ঘটলে জৈব অথবা রাসায়নিক কীটনাশক দ্বারা দমন করতে হবে।
  • ৯.গোলাপ গাছে অধিক ফুল পাওয়ার জন্য অবশ্যই গাছকে ঝোপালো করতে প্রুণিং করতে হবে।
  • ১০.গোলাপ গাছ অতিরিক্ত বৃষ্টির জল পছন্দ করে না, প্রয়োজনে বর্ষাকালে গাছের উপর ছাউনি তৈরি করে দিতে পারেন ।
  • ১১. গ্রীষ্মকালে তীব্র তাপ থেকে গাছগুলিকে বাঁচাতে সেডের ব্যাবস্থা করতে হবে এবং সকাল এবং সন্ধা দুবেলা জল দিতে হবে।
  • ১২. বর্ষাকালে গোলাপ গাছে ফাঙ্গাস লাগার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। তাই নিয়মিত ছত্রাকনাশক আর কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। মাসে ৩ বার পরপর (সাফ, ম্যানসার, ব্যাভিস্টিনের মতো) ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে গাছে।

[আরও পড়ুন: ক্যামেলিয়া গাছের পরিচর্যা | How to Care Camellia Plant]

প্রিয় পাঠক, এই প্রতিবেদনটি পঠন করবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকের সহযোগিতা “ক্রিয়েটিভিটি গার্ডেনিং” সর্বদা কাম্য করে। গাছই আমাদের একমাত্র সম্পদ যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত করতে পারে, বাঁচিয়ে রাখতে পারে। নিঃস্বার্থে গাছ ভালবাসুন, সকলকে গাছ লাগাতে উৎসাহিত করুন।

আপনাদের যদি এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আমাকে জানাতে জানাবেন। সেগুলোর সমাধান করাবার আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব। আপনার মূল্যবান রেটিং দিয়ে উৎসাহিত করুন, সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, সবাই খুব ভালো থেকো নমস্কার।

5/5 - (1 vote)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *