মেস্তা বা সুস্বাদু চুকাই ফলের চাষ প্রদ্ধতি

Last updated on November 17th, 2023 at 08:33 pm

এই গাছটি চুকাই, মেস্তা বা টক ফল প্রভৃতি নামে পরিচিত। চুকাই উপগুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের ফল, যার বৈজ্ঞানিক নাম : Hibiscus sabdariffa (Linnaeus), এটি মালভেসি পরিবারের অন্তর্গত। ইংরেজি নাম Rosella, Sorrel চুকাই ফল দেখতে রঙ গাঢ় লাল বর্নের, এই গাছের পাতা, ফুল এবং ফল কোনটাই অপ্রয়জনীয় নয়। এই গাছের ফল থেকে জ্যাম, জেলি ও অন্যান্য দ্রব্য প্রস্তুত করা হয়। পৃথিবীর অনেক দেশেই এই গাছের বাণিজ্যিক ভাবে চাষ করা হয়।

চুকাই বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নামে পরিচিত বাংলাদেশের রাজশাহীতে চুকাই, খুলনায় ও সাতক্ষীরাতে অম্ল বা অম্বল মধু, ধামরাই এবং মানিকগঞ্জে চুকুল, সিলেটে হইলফা, কুমিল্লায় মেডশ, বা মেষ্টা,পাহাড়ি এলাকায় ‘আমিলা ইত্যাদি। ভারতবর্ষে চুকাই, মেস্তা ফল, টকফলও উতমুখরই নামে। আবার কেউ কেউ বলেন হুগ্নিমুখুই। গুল্মজাতীয় চুকাই গাছের আদি ভূমি ক্রান্তীয় পশ্চিম আফ্রিকা বলে মনে করা হয়। জবা ফুলের সমগোত্রীয় এই গাছের আঁশ থেকে একসময় বস্ত্র তৈরির সুতা উৎপন্ন করা হতো। এ ছাড়া পাটের বিকল্প হিসেবেও এটি চাষ করা হতো। মেস্তাশাক এখনো খাওয়া হয়। এর ফুল, পাতা ও বীজের ঔষধি গুণের কথা ব্যাপকভাবে জানা যায়।

মেস্তা বা সুস্বাদু চুকাই ফলের চাষ প্রদ্ধতি

চুকাই গাছের ফল আসলে অপ্রকৃত। ফলের বাইরের বৃতি এর ভক্ষ্য অংশ, যা খুবই পাতলা এবং পরিমাণে অল্প, গর্ভাশয় আকারে বড় এবং ছোট ছোট হুলযুক্ত। পাতলা লাল বর্ণের ভক্ষ্য অংশটি গর্ভাশয়কে ঘিরে থাকে। এটি বিদারী ফল, অর্থাৎ পাকলে এটি ফেটে যায় এবং বীজগুলি মাটিতে ছড়িয়ে যায়, যা থেকে পরের বছরের বর্ষার শুরুতে চারা গাছ তৈরী হয়। চুকাই গাছের কাণ্ড তামাটে রঙের এবং শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট। কাণ্ড ও পাতায় কোনো কাঁটা থাকে না। পাতা আঙ্গুল আকৃতির, পাতার কিনারা ঢেউ খেলানো, গাঢ় সবুজ এবং পরিণত অবস্থায় তামাটে লাল রং ধারণ করে। চুকাই এর পাতা স্বাদে টক ও সুস্বাদু। পাতার বৃন্ত ১০-১১ সেমি। ১৩০-১৪০ দিনে গাছে ফুল আসে। ফুলের ব্যাস ৫-৭ মিমি, দল হলদে, গোড়ায় মেরুন দাগ রয়েছে। চুকুরের একটি গাছে অসংখ্য ফল ধরে। ফল অপ্রকৃত, ক্যাপসুল আকৃতির, ওপরের দিকে চোখা ও রোমমুক্ত এবং বৃতি পুরু ও মাংসালো।

মেস্তা বা চুকাই জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না। খরা সহনশীল ও নেমাটোড প্রতিরোধী মেস্তার চাষে কিছুটা সুবিধা হলো তা শুষ্ক অঞ্চলের প্রান্তিক জমিতে আবাদ করা যায় এবং স্পাইরাল বোরার ও শিকড়ে গিঁট রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয় না। মেস্তা বেশ খরা সহিষ্ণু এবং পাটের তুলনায় কম উবর্র জমিতে স্বল্প খরচে এর চাষ করা যায়। চুকুরের পাতা ও ফলে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, কেরোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ও অন্যান্য খাদ্য উপাদান রয়েছে। বীজ থেকে ২০% খাবার তেল পাওয়া যায়।

মেস্তা বা সুস্বাদু চুকাই ফলের চাষ বাড়িতে করুন

চুকুর চাষের জন্য স্থান নির্বাচন:

চুকাই চাষের জন্য উঁচু অথবা ঢালু স্থান নির্বাচন করতে হবে। দোআঁশ এবং বেলে দোআঁশ মাটি মেস্তা বা চুকাই চাষের উপযোগী। এছাড়া পাহাড়ি এলাকায়, বাড়ির আঙিনা ও আশপাশের ঢালু স্থান, অনুবর্র আবাদযোগ্য প্রান্তিক জমিতে সহজে চুকাই চাষ করা যায়। যে জমিতে বর্ষায় জল জমে না সেখানে মেস্তা চাষ করবার জন্য উপযুক্ত স্থান। দিনে মোটামুটি ৬ থেকে ৮ ঘটা সরাসরি সূর্যের আলো পাই তেমন স্থানে গাছটি প্রতিস্থাপন করা উচিত, এতে গাছের বাড়বাড়ন্ত এবং ফলের পরিমান বৃদ্ধি পাই।

মাটি প্রস্তুত:

চুকাই চাষের জন্য সুনিষ্কাশিত উর্বর মাটি তৈরী করতে হবে। মাটির জল নিষ্কাশন ব্যাবস্থা যদি ভাল না হয় তাহলে প্রতিস্থাপনের কিছু দিন পারে গাছটি মাড়া যাবে। এই গাছের জন্য বেলে দোঁয়াশ মাটি একদম আদর্শ, ভারীমাটি অর্থাৎ কাঁদামাটি বা যে মাটিতে কাদার ভাগ বেশি তেমন মাটিতে প্রতিস্থাপন না করাই ভাল। কারণ ভারীমাটিতে গাছ মড়ার প্রবনতা বেশি থাকে।

বীজ বপনের পূর্বে মাটি ভাল ভাবে কুঁপিয়ে ঝুঁড়ঝুঁড়ে করে পরিমান মতো গোবর সার, সাথে নিমখোল মিশিয়ে মাটি প্রস্তুত করে নিতে হবে।

টবের ক্ষেত্রে, দুভাগ বেলে দোঁয়াশ মাটির সাথে একভাগ একবছরের বা তারও বেশি পুরনো গোরব সার, অথবা ভার্মিকম্পোস্ট, বা পাতাপচা সার নিতে হবে, তার সঙ্গে একভাগ কোকোপিট সাথে হাঁফমুঠো হাড়গুড়ো এবং দু চামচ নিমখোল মিশিয়ে মাটি তৈরি করতে হবে। গাছ কেমন হবে তার অনেকটা নির্ভর করে মাটির উপড়ে। যে কোন গাছ টবের তুলনায় মাটিতে খুবই ভালো হয়।

চুকুর চাষে ক্ষেত্রে চারা তৈরি:

সাধারণত বীজ দ্বারা চুকাই গাছের চারা তৈরি করা হয়। তবে ডাল কেটে লাগালেও সেসব গাছে দ্রুত ফল ধরে। তবে ভারতবর্ষ এবং বাংলাদেশে এই প্রদ্ধতিতে চুকাই এর চাষাবাদ হয় না। সরাসরি জমিতে বীজ বোনা হয়। জুম চাষ করার ক্ষেত্রে সাধারণত মার্চ মাস থেকে এপ্রিল মাসে বীজ বোনা হয়। পাহাড়ের ঢালে ৩-৪টি করে বীজ বপন করতে হবে। বীজ অঙ্কুরোদগমের পর যখন ২-৩টি করে পাতা বার হবে তখন গাছ হালকা করে দিতে হবে অর্থাৎ বাকি চারা তুলে ফেলে দিতে হবে।

এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে জুন পর্যন্ত বীজ বপন করবার আদর্শ সময়। বীজ (২-২.৫০ফুট) দূরত্বে সারি করে বপন করতে হবে। নাবীতে বীজ বপন করলেও ফল পাওয়া যাবে কিন্তু কম সময়ের জন্য গাছে ফলনের পরিমান হ্রাস পাবে।

সার ব্যবস্থাপনা:

পাহাড়ী অঞ্চলে চুকাই গাছে কোনো সার দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। তবে অল্প সার প্রয়োগ করলে গাছের বৃদ্ধি ও ফলন ভালো হয়। পাহাড়ী অথবা সমতল অঞ্চলে গাছের বৃদ্ধির সাথে সাথে পরিমান মতো সার দেওয়ার প্রয়োজন। প্রথমে প্রতি গাছের গোড়া খুড়ে নিতে হবে,মে থেকে জুন মাসের মধ্য একবার গোবর সার দিয়ে দিতে হবে। পরবর্তী একমাস পরে সুফলা এবং পটাশ একত্রে মিশিয়ে মাটিতে প্রয়োগ করতে হবে।

জলের ব্যবস্থাপনা:

প্রয়োজন অনুযায়ী জমিতে বা টবে জল দিতে হবে। চুকাই গাছ বেশি জল সহ্য করতে পারে না। কাজেই বৃষ্টির জল যাতে না জমতে পারে সেজন্য জমিতে পর্যাপ্ত নালা রাখতে হবে। মাটি সর্বদা আদ্র রাখতে হবে।

[আরও পড়ুন: টবে জামরুল গাছের পরিচর্যা এবং মাটি তৈরি]

আগাছা পরিষ্কার:

চারা গাছ বড় হওয়ার সাথে সাথে নিড়ানি বা কোঁদাল দ্বারা আগাছা পরিষ্কার ও গাছ পাতলা করে দিতে হবে। গাছ ৪৫-৬০ সেন্টিমিটার লম্বা হয়ে গেলে আর আগাছা পরিস্কারের দরকার হয় না। তখন চুকুর গাছের ছায়াতে আর কোনো আগাছা বাড়তে পারে না।

রোগ ও পোকামাকড়ের উপদ্রব :

শীতের আগে গাছে ডালের অগ্রভাগে মিলবাগ বা দয়ে পোঁকার আক্রমন দেখা যায়, এছাড়াও পাতার নিচে মাকড়ের উপদ্রবও দেখতে পাওয়া যায়। উপসর্গ দেখা দিলে রাসায়নিক উপায়ে দমন করতে হবে। তবে গাছে ফল তৈরী হয়ে গেলে রাসায়নিক কীটনাশকের পরিবর্তে জৈব কীটনাশক ব্যাবহার করতে হবে। গরমের শুরুতে ফলের উপস্থিতিতে গাছ আর এক বার মিলবাগ দ্বারা আক্রান্ত হয়। বিস্তারিত জানতে নিচে ভিডিওটি দেখতে অনুরোধ রইল।

[ আরও পড়ুন: সোনালী কিউই (Golden Kiwi) গাছের পরিচর্যা এবং কিউ ফলের ১০টি উপকারিতা]

চুকাই ফলের উপকারিতা:

মেস্তা বা চুকাই চা “জড়ংবষষব ঞবধ” নামে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরিচিত। এই চা মানব দেহের উচ্চ রক্তচাপ কমায়। চুকাই এর বৃতির নির্যাসে অ্যান্থোসায়ানিন থাকে- যা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে, এছাড়াও এই ফুলের নির্যাসে অ্যান্টিডায়াবেটিক উপাদান রয়েছে এবং এর নির্যাস পুরুষের শুক্রাণু ধ্বংস কমাতে সাহায্য করে। এ গাছের নির্যাসে উচ্চমাত্রার প্রোটোক্যাটেচিক এসিড থাকে- যা লিউকেমিয়া, উচ্চ রক্তচাপ, লিভার ক্ষতি এবং পাইরেক্সিয়া চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। কিডনিতে ক্যালসিয়াম অক্সালেট ক্রিস্টাল জমা হওয়া রোধ করে। প্রোস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধে ঢুকাই ফলের বৃতির নির্যাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চুকাই বীজের তেল বহুবিধ ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধে কাজ করে, দেহের চর্বি এবং বডিমাস ইনডেক্স কমাতে বৃতির নির্যাস গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। দেহের ওজন কমাতে এবং বার্ধক্য জনিত সমস্যা থেকে সাহায্য করে। লবণ, মরিচ ও গুড় মিশ্রিত চুকাই এর রস কফ ও কাশির প্রতিকারে ভূমিকা রাখে। জলে সিদ্ধ করে লবণ দিয়েই সবুজ চুকাই এর পাতা খাওয়া যায়। খেলোয়াড়দের স্ট্যামিনার বাড়ানো এবং তাদের দেহের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স করতে চুকাই এর বৃতির নির্যাস খুবই উপযোগী।

চুকাই এর পাতার ভর্তা ও কচি কান্ড সালাদ এবং মাছের সঙ্গে তরকারি হিসেবে খাওয়ার প্রচলন যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। চুকাই বা মেস্তার ফল গাছের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ- যার মাংসল বৃতি ভক্ষণযোগ্য। চুকাই এর বৃতি দিয়ে আচার, জেলি, জ্যাম, সরবত, সস, জিলেটিন, আইসক্রিম, ফ্লেভার, কেক, সিরাপ, পুডিং ইত্যাদি তৈরি করা হয়। এছাড়া চুকাইর বৃতি থেকে চা বানানো যায়- যা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বর্তমানে ভারতবর্ষ এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বাণিজ্যিকভাবে চুকাই এর চাষ করা হয়। বাড়ির আঙিনায় খুব স্বল্প পরিশ্রমে এর চাষ করে পুষ্টির নিশ্চয়তার পাশাপাশি সবজি উৎপাদন করে বাড়তি আয় ও মহিলাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে। সুতরাৎ চুকাই চাষ দেশের অর্থনীতিতে উলেস্নখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। এ ছাড়া বিদেশে চুকুরের প্রচুর চাহিদা থাকায় চুকুর থেকে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্য এমনকি শুকনা বৃতি রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যেতে পারে।

[আরও পড়ুন: ছাদ বাগানে স্ট্রবেরি চাষ প্রদ্ধতি এবং রোগ-বালাই ও পরিচর্যা]

[আরও পড়ুন: টবে চেরি ফল গাছ যে ভাবে প্রতিস্থাপন এবং পরিচর্যা করবেন]


প্রিয় পাঠক, এই প্রতিবেদনটি পঠন করবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকের সহযোগিতা “ক্রিয়েটিভিটি গার্ডেনিং” সর্বদা কার্ম করে। গাছই আমাদের একমাত্র সম্পদ যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত করতে পারে, বাঁচিয়ে রাখতে পারে। নিঃস্বার্থে গাছ ভালবাসুন, সকলকে গাছ লাগাতে উৎসাহিত করুন।

আপনাদের যদি এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আমাকে জানাতে জানাবেন। সেগুলোর সমাধান করাবার আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব। আপনার মূল্যবান রেটিং দিয়ে উৎসাহিত করুন, সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, সবাই খুব ভালো থেকো নমস্কার।

FAQ [Frequently Asked Questions]

চুকাই গাছ কি?

চুকাই একবর্ষজীবী এবং উপগুল্ম জাতীয় ফল গাছ । চুকাই ফল দেখতে গাঢ় লাল বর্নের, এই গাছের পাতা, ফুল এবং ফল কোনটাই অপ্রয়জনীয় নয়। এই গাছের ফল থেকে জ্যাম, জেলি ও অন্যান্য খাদ্য দ্রব্য প্রস্তুত করা হয়। পৃথিবীর অনেক দেশেই এই গাছের বাণিজ্যিক ভাবে চাষ করা হয়।

চুকাই ফল কখন চাষ করা হয়?

এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে জুন মাসের মধ্য বীজ বপন করবার আদর্শ সময়। জমিতে চাষ করলে বীজ (২.৫০- ৩ ফুট) দূরত্বে সারি করে বপন করতে হবে।

চুকাই চাষের জন্য কিভাবে মাটি প্রস্তুত করতে হবে?

চুকাই চাষের জন্য সুনিষ্কাশিত উর্বর মাটি প্রস্তুত করতে হবে। মাটির জল নিষ্কাশন ব্যাবস্থা যদি ভাল না হয় তাহলে প্রতিস্থাপনের কিছু দিন পারে গাছটি মাড়া যেতে পারে। এই গাছের জন্য বেলে দোঁয়াশ মাটি একদম আদর্শ, মাটির সাথে পরিমান মতো গোবর সার, সাথে নিমখোল মিশিয়ে মাটি প্রস্তুত করে নিতে হবে।

চুকাই গাছ টবে চাষ করা সম্ভব?

হ্যা সম্ভব, চুকাই গাছ টবে চাষ করবার জন্য গভীর এবং বড় মাপের? (১০ – ১২ ইঞ্চি) মাটির পাত্র নির্বাচন করতে হবে।

চুকাই ফল দ্বারা কি প্রস্তুত করা হয়?

চুকাই ফল দ্বারা আচার, জেলি, জ্যাম, সরবত, সস, জিলেটিন, আইসক্রিম, ফ্লেভার, কেক, পুডিং, সিরাপ, প্রভৃতি তৈরি করা হয়।

চুকাই চাষের জন্য কি সরাসরি সূর্যের আলো প্রায়াজন?

হ্যা, চুকাই চাষের সরাসরি সূর্যের আলো প্রায়াজন। এটি প্রধানত শীতের ফল, তাই দিনে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা সূর্যের আলো প্রায়াজন । ভালো ফলনের জন্য উপযোগী তাপমাত্রা ৮- ২২ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড প্রয়োজন।

আপনার মূল্যবান রেটিং দিয়ে উৎসাহিত করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *