Last updated on December 5th, 2023 at 02:13 pm
ফুল সৌন্দর্য ও ভালবাসার প্রতীক, শীতের মরসুমের দেশী, বিদেশি ফুলের ডালি নিয়ে হাজির হয় বং- বেরঙের শহস্য ফুল। শীতের দিনগুলোতে দেশী ফুলের পাশাপাশী ফোটে বিদেশি প্রচুর ফুল। শুধু সংখ্যায় যে এরা প্রচুর তা নয়, রূপ-বৈচিত্র্যে এদের জুঁড়ি মেলা ভার, আর কোনো মৌসুমেই এরা এতটা মুগ্ধ করতে পারে না।
আজকের এই প্রতিবেদন থেকে আপনি জানতে পারবেন শীতকালের সেরা ১৮টি বিদেশী ফুল | শীতকালের ফুল গাছের পারিচর্যা সম্পর্কে। বিদেশী ফুলের মধ্য আছে- চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, পিটুনিয়া, ইম্প্রেশন, অ্যাস্টার, আফ্রিকান ডেইজি, কসমস, সিলভিয়া, এন্টিরিনাম, ন্যাস্টারশিয়াম, প্যানজি/পেনজি, ডায়ান্থাস, ফ্লক্স, ভারবেনা, কারনেশান, পপি, সূর্যমুখী, পর্টুলেকা, ক্যালেন্ডুলা, হলিহক, অ্যালিসাম, ক্লার্কিয়া/গডেটিয়া, গাঁদা, মর্নিং গ্লোরি, সুইট পি, অ্যাজালিয়া, জারবেরা, অ্যান্টিরাইনাম, গ্ল্যাডিওলাস,কার্নেশন, সিনেরারিয়া, জেরেনিয়াম, সিলোসিয়া প্রভৃতি। এমনকি গোলাপকেও সঙ্গী হিসেবে পেতে পারেন। সমস্ত প্রজাতির ফুলের চারা আপনারা লোকাল নার্সারিতে পেয়ে যাবেন।
শীতকালীন ফুলের নাম ও ছবি ২১টি বিদেশী ফুল | শীতকালের ফুল
নার্সারিতে শীতের ফুলগাছের কোনো অভাব নেই, আপনার পছন্দের সমস্ত বিদেশী ফুলের চারা পেয়ে যাবেন। ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস শীতের ফুলের আদর্শ সময়| তবে বর্তমানে বিদেশী ফুলকে আর পরদেশী ভাবতে ইচ্ছে করে না, ওরা যেন এই দেশেরই ফুল মনে হয়। বিদেশী ফুলের সৌন্দর্য এতটা মন-মুগ্ধকর যা ভাষাই প্রকাশ করা যায় না। বিদেশী ফুল সংখ্যা এত বেশি যে, শীতের মরসুমে কোন ফুল গাছ প্রতিস্থাপন করবেন, তা ভাবতে গেলে সত্যিই চিন্তায় পড়তে হবে। তবে অতশত ভাবাভাবির দরকার নেই।
শীতকালের ফুল আস্টার (Aster Flower): –
শীতের মরসুমের সুন্দর ফুল আস্টার, আস্টার বিভিন্ন রঙের হয় যেমন, সাদা, বেগুনি, নীল, লাল, হলুদ, বাদামি প্রভৃতি। প্রতিটি মঞ্জুরির মাথায় এক বা একাধিক ফুল হয় এবং ফুলগুলি একবারই হয়। গাছ ছোট আকৃতির ও ঝোপালো হয়। এস্টার হচ্ছে ডালিয়া ফুলেরই একটি জাত।
এস্টার শীতকালীন ফুল তাই এই ফুলগুলি আপনার বাগানকে আলোকিত করে রাখবে। নার্সারী থেকে উন্ন্যত মানের চারাগাছ সংগ্রহ করবার পর, মোটামুটি দিনে ৬ থেকে ৮ ঘটা সূর্যের আলো পাই তেমন প্রতিস্থাপন করা উচিত, এতে গাছের বাড়বাড়ন্ত ভালো হয় এবং রোগে আক্রান্ত কম হয়। আস্টার সুনিষ্কাশিত যে কোনো ধরনের মাটিতেই ভাল হয়। গাছটি যদি টবে প্রতিস্থাপন করতে চান তাহলে মাঝারি (৮ থেকে ১০ ইঞ্চি) মাটির টব নির্বাচন করতে হবেI একবার চারা কেনার পর প্রত্যেক শীতে আর চারা কেনার প্রয়োজন নেই! এর ফুল থেকে আপনি বীজ সংরক্ষন করে রাখতে পারবেন এবং পরবর্তীতে শীতের আগমনের আগেই আপনি বীজ থেকে চারা তৈরি করে পুরো শীত জুড়েই তা উপভোগ করতে পারবেন।
শীতকালের ফুল গাজানিয়া (Gazania): –
গ্যাজেনিয়া একটি শীতকালীন ফুল। এর আদি নিবাস দক্ষিণ আফ্রিকা হলেও বর্তমানে এদেশের জনপ্রিয় ফুল হয়ে উঠেছে। গ্যাজেনিয়া ফুল বসন্তের শেষ থেকে গ্রীষ্ম পর্যন্ত প্রস্ফুটিত হয়, প্রায় ২-৩ সেমি ব্যাসের এবং ভিন্ন রঙের (হলুদ, গোলাপী, লাল, কমলা, সাদা) প্রভৃতি রঙের ফুলগুলি হয়। গ্যাজেনিয়া ফুল অনেকটা সূর্যমুখীর মতো দেখতে। পাহাড়ি এলাকায় এরা ভালো জন্মায়।
হাইব্রিড প্রজাতির ফুলের পাঁপড়িতে লাল, কমলা, সাদা, কালো প্রভৃতি রঙের শেড থাকে। ফুল একটা ডাঁটার মাথায় ফোটে, ফোটার পর অনেকক্ষণ তাজা থাকে, বিকেলে গুটিয়ে যায়। প্রতিটি ফুল দুই থেকে তিনদিন স্থায়ী হয়।
শীতকালের ফুল জিনিয়া (Zinnia): –
জিনিয়া সিঙ্গেল ও ডাবল পেটালের হয়, যা নানা রঙের হয়ে থাকে যেমন গোলাপি, সাদা, বেগুনি, হলুদ প্রভৃতি। দেখতেও ভারী সুন্দর এই ফুলগুলি। গাছের প্রতিটি ফুল ১৫ থেকে ২০দিন স্থায়ী হয়। চারাগাছ প্রতিস্থাপনের জন্য মাঝারি মাটির টব নির্বাচন করতে হবে।
শীতকালের ফুল আফ্রিকান ডেইজি (African Daisy): –
আফ্রিকান ডেইজি, দক্ষিণ আফ্রিকার স্থানীয় একটি ফুল। বিদেশী ফুল হওয়া সত্বেও এই ফুলের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই। এই ডেইজি ফুলের চোখ বা কেন্দ্র বিভিন্ন রঙের হতে পারে, সাধারণত বাদামী, সোনালী, গোলাপী বা কালো বর্ণের। এবং ফুলগুলি Purple, Pink, Yellow, Orange, White প্রভৃতি রঙের হয়। যদিও আফ্রিকান ডেইজির বেশিরভাগই শক্ত রঙে আসে, কিছু প্রায় টাই-ডাই প্রভাবের জন্য ফুলের কেন্দ্রের দিকে অন্য রঙে বিবর্ণ হয়ে যায়। বিভিন্ন রঙের ফুল পেতে অনেকগুলি গাছ আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে, এই ডেইজি ফুলগাছ বাগানে প্রতিস্থাপন না করলে, এই ফুলের সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।
আফ্রিকান ডেইজির বৈজ্ঞানিক নাম –Osteospermum, এটি এস্টারাসি পারিবারের অন্তর্গত, অন্যান্য নাম-African daisy, cape daisy, osteospermum। Trailing African Daisy বা Shrubby Daisybush, Osteospermum fruticosum প্রভৃতি।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বসন্তের মরসুমে যখন বৃষ্টি আসে তখন আফ্রিকান ডেইজি ফুল ফোটে। শীত এবং বসন্তকালে এ ফুল প্রস্ফুটিত হয়। এটি বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ কিন্তু শুষ্ক অবস্থায় গাছগুলি বাঁচানো কঠিন, তাই এটি বার্ষিক হিসাবে জন্মে।
সালভিয়া ফুল (Salvia):-
সালভিয়া ফুল শীতের মরসুমের জনপ্রিয় শোভাময় গাছ। দৃষ্টিনন্দন পাপড়ির অনন্য বিন্যাস ও বর্ণ বৈচিত্র্যের জন্য সালভিয়া সবার কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। প্রজাতির বিভিন্নতার উপর নির্ভর করে ফুল শীতের শুরু থেকে শরৎ পর্যন্ত বেগুনি, নীল, লাল, গোলাপী, প্রবাল বা সাদা রঙের সুগন্ধযুক্ত পাতা এবং আকর্ষণীয় ফুলে তৈরি করে। সালভিয়া চারাগাছ প্রতিস্থাপনের আদর্শ সময় নভেম্বর মাস।
সালভিয়া একবর্ষজীবী উদ্ভিদ যা ভূমধ্যসাগর সহ এশিয়া, মধ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকার উষ্ণ, শুষ্ক জলবায়ুর অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায়। সালভিয়া তাপ এবং খরা সহনশীল এবং কম রক্ষণাবেক্ষণ উদ্ভিদ। সালভিয়া শীত মৌসুমের মনমাতানো ফুল, যার বৈজ্ঞানিক নাম Salvia Splendens. সালভিয়া ও তুলসী একই গোত্র Labiatae সদস্য। এই নির্দেশিকা আপনাকে সালভিয়া ফুলের যত্ন এবং প্রতিস্থাপন সম্পর্কে মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবে।
[আরও পড়ুন: টব ভর্তি প্রচুর ফুল পেতে হাইড্রেনজিয়া গাছের পরিচর্যা]
শীতকালের ফুল ডালিয়া (Dahlia): –
শীতের মরসুমের জনপ্রিয় ফুলের মধ্য রয়েছে ডালিয়া। ডালিয়া আমাদের সকলের পরিচিত ফুল। ডালিয়া আমেরিকার মেক্সিকো থেকে এসেছে। এটি শীতের সব ফুলের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর। অনেক পাপড়ি বিশিষ্ট বং-বেরঙের ফুলওলি হয়ে থাকে। কোনোটা একরঙা আবার কোনোটায় একাধিক রঙের মিশ্রণ। ডালিয়া মূলত আকারে বড় হলেও ছোট সাইজের ডালিয়াও পাওয়া যায়। ডালিয়ার চারাগাছ প্রতিস্থাপনের আদর্শ সময় নভেম্বর মাস।
শীতকালের ফুল চন্দ্রমল্লিকা (Chrysanthemum): –
শীতকালীন মৌসুমী ফুলের মধ্যে চন্দ্রমল্লিকা সর্বশ্রেষ্ঠ। এই কারণে চন্দ্রমল্লিকা কে বাগানের রানী বলা হয়। চন্দ্রমল্লিকা ফুল কম্পোজিট (Compositae) গোত্রের অন্তর্গত এর ইংরেজি নাম ক্রিসেন্থিমাম। ক্রিসেন্থিমাম ডিসেম্বর মাস থেকে ফুল ফোঁটা শুরু হয়। চন্দ্রমল্লিকার আদিনিবাস চীনে হলেও চন্দ্রমল্লিকা জাপানের জাতীয় ফুল। চন্দ্রমল্লিকা নানা জাতের, নানা রঙের হয়। কিছু জাতের পাপড়ির আকৃতি বড় হয় আবার কিছু জাতের পাপড়ি গুলি ছোট হয়, ফুলের জাত, রং, সাইজ- সবকিছুই বৈচিত্র্যপূর্ণ। চন্দ্রমল্লিকা গাছে ফুল ফোঁটা শুরু হয় ডিসেম্বর মাস থেকে ফেব্রুয়ারী মাস প্রযন্ত। চন্দ্রমল্লিকা গাছ থেকে প্রচুর ফুল পেতে আগস্ট মাস থেকে পরিচর্যা শুরু করতে হবে।
এন্টিরিনাম ফুল (Antirrhinum):-
এন্টিরিনাম ফুল তার ভিন্ন সৌন্দর্য এবং আকৃতির জন্য বিশ্ব জোড়া খ্যাতি অর্জন করেছে। এটি বিদেশী ফুল হলেও বর্তমানে আমাদের দেশে এই ফুলের প্রচুর চাহিদা প্রচুর রয়েছে। ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে, ফুলদানি সাজাতে, বিয়ের গাড়ি সাজানো অথবা রিসেপশনের ফুলের তোরা এবং ফুলসজ্জার খাট প্রভৃতি সাজানো সবেতেই এন্টিরিনাম অবাধ বিচরণ । শীতকালের পাশাপাশি গরমকালেও যথাযথ যত্ন এবং পরিচর্যা করলে গাছ থেকে ফুল পাওয়া যায়। এন্টিরিনাম দুই থেকে তিন ফুট পর্যন্ত লম্বা হয় সুতরাৎ এই গাছগুলিকে আপনি স্বল্প স্থানে ছাদবাগান অথবা আপনার ফ্ল্যাটের বারান্দায় পরিচর্যা করতে পারেন।
এন্টিরিনাম গুল্মজাতীয়, বহুবর্ষজীবী, বার্ষিক, সপুষ্পক ভেষজ উদ্ভিদ, যার বৈজ্ঞানিক নাম Antirrhinum majus। এন্টিরিনাম প্ল্যান্টাজিনেসি পরিবারভুক্ত। এ ফুলের আদি বাসস্থান ইউরোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, এশিয়া এবং উত্তর আফ্রিকার এলাকায়। এন্টিরিনাম ফুলকে ইংরেজিতে স্ন্যাপড্রাগনও বলা হয়। মৌসুমী ফুলের মধ্যে এন্টিরিনাম সম্পূর্ন অন্য ধরনের ফুল। এন্টিরিনামের প্রায় ৩৬টি প্রজাতি রয়েছে, সাধারণত সংকর প্রজাতিগুলি বাগানের গাছ হিসাবে দেখা যায়।
শীতকালের ফুল ক্যামেলিয়া (Camellia): –
শীতের সুন্দর ফুলের মধ্য রয়েছে ক্যামেলিয়া, যাকে ’শীতের গোলাপ’ বা ‘Rose of Winter’ ও বলা হয়। ক্যামেলিয়ার ডাকনাম বুরবন ক্যামেলিয়া। গোলাপ, প্যান্সি, কার্নেশন, চন্দ্রমল্লিকা, আজেলিয়া প্রভৃতির থেকে ক্যামেলিয়ার সুন্দর্য কম নয়। শীতের মরসুমে ক্যামেলিয়া ফুল ফোটে তবে শরৎ কাল থেকে কুঁড়ি তৈরী হয়। এই গাছের গোড়ায় বৃষ্টির জল জমতে দেওয়া চলবে না, তা হলে গাছ মাড়া যাবে। এই গাছের পরিচর্যা অন্য গাছের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
ক্যামেলিয়া বৈজ্ঞানিক নাম: Camellia japonica – এই গাছটি ২০ ফুট পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে। বর্তমানে এই ফুলের ২০০০- ৩০০০ হাইব্রীড ভ্যারাইটি বিদ্যমান । অন্যান্য স্থানীয় নামের মধ্যে camellia, Japanese Camellia উল্লেখযোগ্য। এটি Theaceae পরিবারের একটি উদ্ভিদ।
ক্যামেলিয়ার পাতার বৈশিষ্ট অনুযায়ী দুটি প্রজাতি আছে একটি জাপোনিকা অপরটি শশাঙ্কিয়া। ক্যামেলিয়া গাছ না ছাঁটলে ২০-৩০ ফুট উঁচু হয়ে যায় এবং যত্ন ও পরিচর্যা করলে বাঁচে অন্তত এক শ বছর। না কাঁটাই-ছাঁটাই করলে গাছ এত উঁচু হয় যে ক্যামেলিয়া ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় না।
শীতকালের ফুল এজেলিয়া (Azalea): –
এজেলিয়া ফুল শীতের অন্যতম আকর্ষণ। এজেলিয়া ফুলের সৌন্দর্য এবং গাছে দীর্ঘ জীবনের জন্য উদ্যান পালকদের কাছে পছন্দের গাছ। এটি প্রধানত পার্বত্য অঞ্চলের ঠান্ডা আবহাওয়াতে বারো মাস ফুল ফোঁটে। এটি বহুবর্ষজীবী চিরসবুজ উদ্ভিদ। বর্তমানে কৃষিবিজ্ঞানের উন্নতির ফলে শীতের মরসুমে এই পরিবেশে, ফুল চাষ সম্ভব হয়েছে। এজেলিয়া গাছ প্রতিস্থাপনের জন্য ১০ ইঞ্চি অথবা ১২ ইঞ্চি মাটির টব নির্বাচন করতে হবে।
শীতকালের ফুল জারবেরা (Gerbera): –
জারবেরা তার নিজের সৌন্দর্য জন্য পৃথিবীব্যাপী বিখ্যাত অর্জন করেছে । রঙ- বেরঙের জারবেরা ফুলের সৌন্দর্য দেখে যে কারো চোখ আটকে যাবে। শীতকালীন ফুল হিসাবে জারবেরা অসাধারণ। জারবেরা বিদেশী ফুল হলেও আমাদের দেশেও এর প্রচুর চাহিদা আছে । সূর্যমুখীর মতো দেখতে এই ফুলগাছের পাতা পালং শাকের মতো । আমাদের দেশে লাল, সাদা, হলুদ, গোলাপি, কমলাসহ বেশ কয়েকটি রঙের জারবেরার চাষ হয়। যথাযথ যত্ন করলে গাছটি থেকে আপনারা সারা বছর ফুল পেতে পারেন।
জারবেরা ফুল বিভিন্ন রঙের হয় যেমন: লাল, সাদা, হলুদ, পিংক, ম্যাজেন্টা, কমলা প্রভৃতি। ভারতবর্ষের টিস্যু কালচারের মাধ্যমে তৈরী চারার চাহিদা সব থেকে বেশি। প্রায় ৩০টি প্রজাতির জারবেরা ছড়িয়ে আছে দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়ায়। ফুলটি পৃথিবীব্যাপী কাট ফ্লাওয়ার হিসেবে পরিচিত।
জারবেরা চাষের জন্য উর্বর, ঝুঁড়ঝুড়ে মাটি প্রস্তুত করতে হবে, যাতে জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো হওয়া চাই।
[আরও পড়ুন: সিনেরারিয়া গাছের সম্পূর্ণ পরিচর্যা]
শীতকালের ফুল হলিহক (Hollyhock): –
মূলত হেমন্তের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হয় শীতের আমেজ । তখন প্রকৃতির কোলে দেখা যায় দেশী- বিদেশী শহস্য ফুলের আগমন। জবা গোত্রের এই ফুলের নাম হলিহক। নানা বর্ণের আকর্ষণীয় ফুলগুলো দেখতে একটু বড় আকারের হয়। বিদেশি এই ফুলগুলি সিঙ্গেল ও ডবল পাঁপড়ির হয়ে থাকে। বিদেশী ফুল হওয়া সত্বেও আমাদের দেশের এই ফুলের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়ে চলেছে। গাছের উচ্চতা ১১ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। শীতের শেষে অর্থাৎ বসন্তে শুরুতে গাছে ফুল ফোঁটা শুরু হয়। বাগানের শোভা বর্ধনের জন্য হোলিহকের তুলনা হয় না।
হোলিহকের প্রায় ৬০টি প্রজাতি রয়েছে। হলিহকের বৈজ্ঞানিক নাম Alcea spp , এটি Malvaceae পরিবারের অন্তর্গত, এর ইংরেজি নাম Hollyhock Flower। হলিহকের অপর নাম রাজকন্যা। হলিহক গাছগুলি লম্বাটে প্রকৃতির হয় এবং এদের পাতা এবং গায়ে বড় লোমশ থাকে। হলিহক ফুল সাদা, গোলাপী, মেজেন্টা, কমলা প্রভৃতি রঙের হয়।
শীতকালের ফুল অ্যালিসাম (Alyssum): –
নানা বর্ণের আকর্ষণীয় অ্যালিসাম ফুলগুলো দেখতে একটু ছোট আকারের হয়। বিদেশি এই ফুলগুলি গুচ্ছকারে প্রচুর সংখ্যায় ফোঁটে। বাগানের শোভা বর্ধনের জন্য অ্যালিসাম তুলনা হয় না, বাগানের ছোট্ট একটি স্থানে, টবে বা মাটিতে বা হ্যাঙ্গিন পাত্রে বাগানের শোভা বাড়াতে গাছগুলি প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে। বিদেশী ফুল হওয়া সত্বেও আমাদের দেশের এই ফুলের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়ে চলেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এটি জাতীয় ফুল হয়ে উঠেছে। অ্যালিসাম গাছের উচ্চতা ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি (10 সেন্টিমিটার থেকে এক মিটার) পর্যন্ত উচ্চতা হতে পারে। শীতের শুরু থেকেফুল ফোঁটা শুরু হয়।
আলিসাম ফুল প্রায়শই ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ল্যান্ডস্কেপিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। কিছু জাতের ফুলে সুগন্ধযুক্ত সুবাস রয়েছে। আপনার বাগানে সুগন্ধ এবং প্রচুর ফুল উভয়ই সরবরাহ করার জন্য এগুলি প্রায়শই বড় ব্লকগুলিতে লাগানো হয়।
শীতকালের ফুল ক্লার্কিয়া (Clarkia): –
বাগানে সব থেকে ভিন্ন ফুলগাছ করতে চাইলে আপনাকে ক্লার্কিয়া গাছ প্রতিস্থাপন করতে হবে। ভিন্ন আকৃতি ও ভিন্ন রঙের ফুলগুলি আপনার বাগানকে আরো মন-মুগ্ধকর করে তুলবে। রঙের মধ্যে রয়েছে পীচ, গোলাপী, বেগুনি, লাল এবং সাদা, প্রায়শই আকর্ষণীয় বৈচিত্র্য সহ ফুলটির গায়ে থাকে বিভিন্ন রঙের মিশ্রণ।
ক্লার্কিয়া ফুলগুলি দেখতে সুন্দর। প্রতিটি ফুল গাছে বহুদিন স্থায়ী হয়। চারাগাছ প্রতিস্থাপনের জন্য মাঝারি (৮ থেকে ১০ ইঞ্চি) মাটির টব নির্বাচন করতে হবে।
[ আরও পড়ুন: নন্দিনী ফুল গাছের প্রতিস্থাপন ও সম্পূর্ন পরিচর্যা ]
শীতকালের ফুল ন্যাস্টারশিয়াম (Nasturtium): –
ব্যালকনিতে টবে বা বাগানের টবে চাষ করতে পারেন নানা বর্ণের শীতকালীন ফুল ন্যাস্টারশিয়াম । ব্যালকনি সাজাতে এই ফুলটি অসাধারণ। উন্ন্যত মানের ফুল পেতে নার্সারি থেকে ভাল জাতের চারা সংগ্রহ করে আনতে হবে। এই গাছের জন্য একটু চ্যাপ্টা আকৃতির মাটির টব কিংবা গামলা নিতে পারেন।
এর আদি নিবাস পেরু ও মেক্সিকো। Nasturtium এর বৈজ্ঞানিক নাম Tropaeclum majus, এটি Tropaeclaceae পরিবারের অন্তর্গত। স্থানভেদে এটি Monks cress, Garden nasturtium নামেও পরিচিত। ন্যাস্টারশিয়াম একসময় ইন্ডিয়ান ক্রেস(Indian Cresses ) হিসাবে পরিচিত ছিল কারণ এই ফুল আমেরিকা থেকে সর্বপ্রথম পরিচিতি লাভ করে, যা তখন ইন্ডিজ হিসাবে পরিচিত ছিল এবং তারা শাস হিসাবে ব্যবহার করত।
শীতকালের ফুল ফ্লক্স(Phlox): –
ঝোপাকৃতি ও ছোট আকারের গাছের ডালের আগায় থোকা থোকা ফোটে নানা রঙের ফুল। ছোট ছোট এবং চিকন পাতার মাঝে দেখতে পাওয়া যায় এই ফুলগুলি । ফুলের মধ্য বিন্দুতে বিপরীত রঙের ফোটা থাকে। ফুলগুলি পাঁচ পাপড়ি বিশিষ্ট হয়। এক সঙ্গে অনেক ফুল ফোটলে দূর থেকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। শীতের শেষ অর্থাৎ ফেব্রুয়ারী, মার্চ থেকে ফ্লক্স ফুল ফোটা শুরু হয়।
এটি Polemoniceae পরিবারের অন্তর্গত এবং বৈজ্ঞানিক নাম:Phlox Durmmondii। আদি নিবাস আমেরিকা মহাদেশের টেক্সাস ও মেক্সিকো। ফ্লক্স ফুলের হাল্কা মৃদু সুভাষে আকৃষ্ট হয় নানা ধরনের পতঙ্গ। ভিন্ন আকৃতি ও ভিন্ন রঙের ফুলগুলি আপনার বাগানকে আরো মন-মুগ্ধকর করে তুলবে। ফুলক্সের ৬০ টিরও বেশি প্রজাতি রয়েছে যা আপনার বাগানের আরো সুন্দর করে তুলবে। অনেকগুলি প্রজাতি শীতের শেষে বা গরমের শুরুর দিকে ফোঁটে, বেশির ভাগ প্রজাতি বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। এই বহুবর্ষজীবীর সমস্ত জাতগুলির জন্য সুনিষ্কাশিত, উর্বর, আর্দ্র মাটি এবং গড় জলের চাহিদা রয়েছে। এখানে ১৫ ধরণের বাগানের ফ্লক্স ফুল উল্লেখ করা হল…
✅ David Phlox (Phlox paniculata ‘David’)
✅ Nora Leigh Phlox (Phlox paniculata ‘Nora Leigh’)
✅ Volcano Ruby Phlox (Phlox paniculata ‘Barthirtyone’)
✅ Bright Eyes Phlox (Phlox paniculata ‘Bright Eyes’)
✅ Laura Phlox (Phlox paniculata ‘Laura’)
✅ Grenadine Dream Phlox (Phlox paniculata ‘Grenadine Dream’)
✅ Grace Phlox (Phlox paniculata ‘Grace’)
✅ Flame Pink Phlox (Phlox paniculata ‘Bartwelve’)
✅ Little Boy Phlox (Phlox paniculata ‘Little Boy’)
✅ Violetta Gloriosa Phlox (Phlox paniculata ‘Violetta Gloriosa’)
✅ Opening Act Blush Phlox (Phlox ‘Opening Act Blush ‘)
✅ Orange Perfection Phlox (Phlox paniculata ‘Orange Perfection’)
✅ Starfire Phlox (Phlox paniculata ‘Starfire’)
✅ Red Magic Phlox (Phlox paniculata ‘Red Magic’)
✅ Jubilee Phlox (Phlox paniculata ‘Jubilee’)
শীতকালের ফুল টুইঙ্কল স্টার (Phlox twinkle star): –
ফ্লোক্স প্রজাতির টুইঙ্কল স্টার (phlox twinkle star) হল বহুবর্ষজীবী এবং গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। ফুলওলি বসন্তের শুরুতে প্রস্ফুটিত হতে শুরু করে যা গ্রীষ্মের মাঝামাঝি বা শেষে দিক প্রযন্ত প্রস্ফুটিত হয়। প্রস্ফুটিত ফুলগুলি লম্বা আকৃতির, তারকার ন্যায় হয়। phlox twinkle star এর বৈজ্ঞানিক নাম:Phlox durmmondii, polemoniceae পরিবারের অন্তর্গত । আদি নিবাস আমেরিকা মহাদেশের টেক্সাস ও মেক্সিকো।
আংশিক ছায়া, উর্বর, আর্দ্র অথচ সুনিষ্কাশিত মাটিতে গাছ ভাল হয়। যে কোনো মাটিই লতানো phlox twinkle star জন্মানোর জন্য উপযুক্ত যতক্ষণ না এটি সম্পূর্ণ রোদে থেকে আংশিক ছায়ায় রাখা যাচ্ছে। গাছে ফুলের পরিমান বৃদ্ধি মাটির pH 6.1 এবং 7.8 এর মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন কারণ টুইঙ্কল স্টার দুর্বলভাবে অম্লীয় মাটি – দুর্বলভাবে ক্ষারীয় মাটিতে থাকতে পছন্দ করে।
গরমের মরসুমে গাছগুলিতে পরিপূরক জল দেওয়া উচিত এবং গাছগুলি ছাদে রাখলে, গরম পরিবেশের কারণে পাতা ঝলসে যাওয়ার লক্ষণ দেখাতে পারে। তাই গরমকালে গাছওলিকে সেডের নিচে রাখবার ব্যাবস্থা করতে হবে। শীতের শুরু থেকে সার যোগ করুন, মাসে একবার। ফ্লোক্স ছত্রাকজনিত সমস্যা দেখা দিলে, ছত্রাকনাশক ব্যাবহার করুন।
শীতকালের ফুল গাঁদা (Marigold): –
গাঁদা আমাদের সবার পরিচিত একটি ফুল। এই ফুলগুলিকে দেশী ভাবলে ভুল করবেন এগুলি বিদেশী ফুল। হলুদ রঙের ছাড়াও, কমলা, বাসন্তী এবং লাল রঙের হয় ফুলগুলি।
বিভিন্ন প্রজাতি (Variety)
আফ্রিকান গাঁদাঃ আফ্রিকান শ্রেণীর গাঁদাফুল হলুদ রঙের হয়, গাছের আকৃতি বেশ বড়। উল্লেখযোগ্য জাতসমূহ হলঃ ইনকা, গিনি গোল্ড, ম্যান ইন দি মুন, ইয়েলা সুপ্রিম, গোল্ডস্মিথ ইত্যাদি।
ফরাসি গাঁদা শ্রেণীর ফুলগুলি কমলা হলুদ রঙের হয়ে থাকে। উল্লেখযোগ্য জাতসমূহ হলঃ মেরিয়েটা, হারমনি, লিজন অব অনার, ইত্যাদি।
আমেরিকান লাল রঙের ছিটেফোঁটা দেওয়া গাঁদা, যেটিকে আমরা রক্তগাঁদা বলে জানি, সে মূলত দক্ষিণ আমেরিকার ফুল। পাপড়ির সংখ্যা ভেদে সিঙ্গেল ও ডাবল- দুই রকম গাঁদা দেখতে পাওয়া যায়।
এছাড়াও সাদা গাঁদা, জাম্বো গাঁদা, হাইব্রিড এবং রক্ত বা চাইনিজ গাঁদার চাষ হয়ে থাকে। গাঁদা শীতকাল বাদেও বারো মাস চাষ করা যায়। চারাগাছ প্রতিস্থাপনের জন্য মাঝারি মাটির টব নির্বাচন করতে হবে।
শীতকালের ফুল প্যান্সি (Pansy): –
কম উচ্চতার বিশিষ্ট শীতের ফুল গাছের কথা বললে, প্রথমে মনে পড়ে যায় শীতের সব থেকে সুন্দর ফুল প্যান্সির কথা। ফুলগুলি দেখতে অনেকটা প্রজাপতির মতো, দেখে মনে হয় ফুলের গায়ে কেউ যেন রঙীন আবীর মাখিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ ফুলটির গায়ে থাকে বিভিন্ন রঙের মিশ্রণ। এই ফুলের গঠন অন্য ফুলের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ধরনের, ফুলের নিচের দিকে তিনটি পাপড়ি থাকে আর উপরের দিকে দুটি পাপড়ি থাকে। সাধারণত চওড়া(ছড়ানো)টবে ফুলগুলি ভালো ফোটে। বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে এই ফুলগুলির তুলনা হয় না।
প্যান্সির বৈজ্ঞানিক নাম – Viola tricolor hortensis, এটি Violaceae পরিবারের একটি উদ্ভিদ। প্যান্সি এতুটাই জনপ্রিয় ফুল যে বাগানবিলাসীদের কাছে এটি ৪০০ এরও বেশী নামে পরিচিত। প্যান্সির অন্যান্য নামের মধ্যে Viola, Pansy, Pansy Violet, heartsease, love in idleness, flower of Jove, Johnny Jump Up নাম গুলো উল্লেখযোগ্য। চারা গাছ বসানোর আদর্শ সময় ডিসেম্বর মাস।
[আরও পড়ুন: ঝিন্টি গাছে প্রচুর ফুল পেতে কি ভাবে পরিচর্যা করবেন]
শীতকালের ফুল কসমস (Cosmos): –
কসমস একটি বিদেশি ফুল। তবে বাগান সাজাতে কিংবা বারান্দার শোভা বৃদ্ধি করতে কসমস এর জুড়ি মেলা ভার। এটি আমেরিকার মেক্সিকো শহরের ফুল। ৫ পাপড়ি বিশিষ্ট গোলাপী, সাদা, লাল, কামলা রঙের ফুল হয়, যা বিভিন্ন শেডের ফুল। লম্বা ও চিকন ডাঁটার উপর একাধিক ফুল ফোঁটে, যা দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগে।
কসমস ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম Cosmos bipinnatus। কিন্তু কসমস বা মেক্সিকান এষ্টারের রঙ এবং ফুলের ধরণ ভেদে এবং নামের ভিন্নতা জন্যে, সব মিলিয়ে প্রায় ২০ প্রজাতির কসমস পাওয়া যায়। যেমন Cosmos sulphureus হলো আমাদের পরিচিত উজ্বল কমলা-হলুদ কসমস। Cosmos bipinnatus হলো সাদা এবং গোলাপি কসমস। এমনকি চকোলেট রঙেরও একটা কসমস আছে যার নাম Cosmos atrosanguineus।
ক্যালেন্ডুলা ফুল (Calendula):-
শীতের মরসুমে স্বল্প স্থানের ফুল ক্যালেন্ডুলা, এই ফুল দেখতে “পট গাঁদা” র ন্যায়, ক্যালেন্ডুলার অনেক রকমের ভ্যারাইটি আছে। যার মধ্যে হলুদ ও কমলা রঙের কালেন্ডুলাই আমাদের এখানে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। পাঁপড়ির বিন্যাসের দিক থেকে ক্যালেন্ডুলা ফুল আবার দু’রকমের হয়। সিঙ্গল পেটাল ও ডবল পেটাল বা থোকা। সিঙ্গল পেটাল ফুল দেখতে তো অসাধারণ বটেই; কিন্তু ডবল পেটালের সৌন্দর্যই আলাদা।
ক্যালেন্ডুলার বৈজ্ঞানিক নাম ক্যালেন্ডুলা অফিসিনালিস, এটি একটি বার্ষিক বা বহুবর্ষজীবি সহ সুগন্ধযুক্ত ভেষজ উদ্ভিদ, যা ভারতবর্ষ সহ বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্থানে শীতের মরসুম প্রচুর সংখ্যায় ফুল ফোঁটে, ক্যালেন্ডুলা Asteraceae পরিবার অন্তর্গত।
[আরও পড়ুন: Top 10 BEAUTIFUL BLUE FLOWERS CARE WITH NAMES & PICTURES]
প্রিয় পাঠক, এই প্রতিবেদনটি পঠন করবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকের সহযোগিতা “ক্রিয়েটিভিটি গার্ডেনিং” সর্বদা কাম্য করে। গাছই আমাদের একমাত্র সম্পদ যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত করতে পারে, বাঁচিয়ে রাখতে পারে। নিঃস্বার্থে গাছ ভালবাসুন, সকলকে গাছ লাগাতে উৎসাহিত করুন।
আপনাদের যদি এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আমাকে জানাতে জানাবেন। সেগুলোর সমাধান করাবার আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব। আপনার মূল্যবান রেটিং দিয়ে উৎসাহিত করুন, সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, সবাই খুব ভালো থেকো নমস্কার।